শিরোনাম
◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:২১ দুপুর
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘রাজধানীতে চালু হচ্ছে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম’

ডেস্ক রিপোর্ট : নগরীতে ট্রাফিক ব্যবস্থা অনেক আগে থেকেই নাজুক। এ অবস্থা থেকে মুক্তি প্রয়োজন। এ জন্য রাজধানীতে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ ছাড়া ডিএসসিসির ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৭৫ জন নিয়ে একটি কারিগরি ইউনিট সৃষ্টির প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ডিএসসিসির নির্মল বায়ু ও টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প (কেস) আয়োজিত ‘ক্লিন অ্যান্ড সেফ মোবিলিটি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘আমাদের পথ, আমাদের হাতেই নিরাপদ’- শীর্ষক সেøাগানে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম সম্পর্কে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, জাইকার অর্থায়নে মহানগরীর চারটি ইন্টারসেকশনে অর্থাৎ গুলিস্তান (ফুলবাড়িয়া), পল্টন, মহাখালী ও গুলশান-১-এ ভেহিকুলার ইমেজ ডিটেক্টর ভিডিও ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চলন্ত গাড়ির সংখ্যা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা এবং পৃথক লেন অনুসরণ করে গাড়ি চালানোর পাইলট প্রকল্পের কাজ চলছে বলেও জানান মেয়র।

তিনি বলেন, ডিএসসিসির ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৭৫ জন লোকবল নিয়ে একটি কারিগরি ইউনিট সৃষ্টির প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সড়কের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্পোরেশনের গৃহীত পদক্ষেপ অপ্রতুল হলেও কর্পোরেশন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলো হচ্ছে নিরাপদ সড়ক সৃষ্টি করা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা, রাস্তার পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে উৎসাহিত করা, বিনা প্রয়োজনে হর্ন বাজানোকে নিরুৎসাহিত করা, পথচারী চলাচলে ফুটপাত ব্যবহার করা, লেন মেনে গাড়ি চালানো, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা না করে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ি থামানো, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি ব্যবহার বা কালো ধোঁয়া নির্গত থেকে বিরত থাকা।
তিনি আরো বলেন, আমরা কেস প্রকল্পের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ৯২টি সড়ক ইন্টারসেকশনে জেব্রা ক্রসিং, লেন সেপারেটর ডট বা সলিড রোড মার্কিং স্থাপন ও ২৯৪টি পথচারী পারাপার নির্মাণসহ ৬০০টি ট্রাফিক সাইন লাগাবো।
মেয়র বলেন, পর্যাপ্ত পুলিশ পেলে ফুটপাত দখলমুক্ত করা কোনো ব্যাপার নয়। সাত মাসে অনেক প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ঠিক রেখেছি। আমরা স্থায়ীভাবে কিছু পুলিশ ফোর্স চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করব। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় স্থানে অব্যবহƒত ফুটপাত সরিয়ে জনসমাগম সমৃদ্ধ স্থানে স্থাপন করা হবে।

রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে যত দ্রুত সম্ভব বাসরুট ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক হবে। অর্থাৎ ছয় কোম্পানির অধীনে বাস চালানোর ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, বাসরুট ফ্রাঞ্চাইজি করলে সেটি হতে পারে নিরাপদ সড়কের জন্য একটি কার্যকর উদ্যোগ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক রফিকুর রহমান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিল্লাল, কেস প্রকল্পের পরিচালক সেহাব উল্যাহ প্রমুখ ।২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের এমইএস এলাকায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব।

ওই ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী সময়ে সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। শিক্ষার্থীদের অন্যতম দাবি ছিল, সড়কে মৃত্যুর জন্য দায়ী বেপরোয়া চালকদের মৃত্যুদণ্ডের আইন করা। আন্দোলনের মুখে সরকার দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সড়ক নিরাপত্তা আইনের যে খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করে সেখানে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য সর্বোচ্চ সাজা তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। তবে তদন্তে ‘ইচ্ছাকৃত হত্যা’ প্রমাণিত হলে গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করার কথা উল্লেখ করা হয়। সূত্র : মানবকণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়