লিহান লিমা: ইরান ইস্যুতে ব্রিটেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উডি জনসন। তিনি বলেন, হয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে থাকুন নয়তো ব্রিটেনের বাণিজ্যে জন্য তা ভাল হবে না।
জনসন আরো বলেন, ‘ট্রাম্প ইরান ইস্যুতে যে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছেন মিত্র হিসেবে ব্রিটেনের তা মেনে নেয়া উচিত।’ এর আগে এক যৌথ বিবৃতিতে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি ইরান চুক্তির প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা জানায় এবং ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করার সমালোচনা করে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম সানডে টেলিগ্রাফে লেখা কলামে জনসন বলেন, ‘আমরা ইরানের ওপর বৈশ্বিক চাপ প্রয়োগ করে দেশের অভ্যন্তরে এবং বাহিরে তাদের ক্ষতিকার এবং অযথাযথ কার্যকলাপ বন্ধ করতে চাই। এই ইস্যুতে ব্রিটেনকে আমাদের সঙ্গে চাই। আমরা ব্রিটেনকে তার কূটনৈতিক শক্তি ব্যবহার এবং প্রভাব বিস্তারের আহ্বান জানাচ্ছি। কোন দেশ যদি ইরানের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক কোন স্বার্থ রক্ষা করে তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য ঝুঁকির মুখে পড়বে।’
[caption id="attachment_641451" align="alignnone" width="980"] উডি জনসন[/caption]
২০১৫ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়া চুক্তি স্বাক্ষর করে। মে’তে ট্রাম্প এই চুক্তি প্রত্যাহার করে নিয়ে ইরানের ওপর পুনরায় আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন।৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর করা প্রথম দফার নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান মার্কিন ডলার কেনা, সোনা কেনাবেচা ও সরকারি বন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়বে। এছাড়া গাড়ি শিল্প, বেসামরিক বিমান পরিবহন, গালিচা ও খাদ্য রপ্তানি, কিছু ধাতু আমদানির ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়বে ইরান। আগামী নভেম্বর মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের জ্বালানি ক্ষেত্রের উপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চায়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই পদক্ষেপকে ‘মানসিক যুদ্ধ’ বলে মন্তব্য করে। তবে এরপর ইরান জানায় তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান টানতে চায় তবে ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ‘প্রপাগান্ডা’ বলে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। সিএনএন।
আপনার মতামত লিখুন :