মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা থেকে : পানি রাখার পাত্রে বিভিন্ন গাছ-গাছড়ার ভিজিয়ে রাখা হতো। পরে সে গাছের পাতা পঁচা পানি বিভিন্ন রোগের ওষুধ বলে রোগীদের সেবন করিয়ে আসছিলো কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামে দুলাল চন্দ্র। রোববার অপচিকিৎসার দায়ে কথিত কবিরাজ দুলাল চন্দ্রকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও তার চেম্বার সিলগালা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপন দেবনাথ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২০ বছর ধরে পানিতে লতাপাতা ভিজিয়ে রেখে তা পঁচিয়ে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে রোগীদের সরবরাহ করতো দুলাল চন্দ্র। অভিযুক্ত কবিরাজ তার পাতা পঁচা পানি বোতলে ভরে তার চেম্বারে সাজিয়ে রাখতো। তার এমন চিকিৎসায় কারো সুস্থতার খবর না পাওয়া গেলেও কবিরাজ দুলাল চন্দ্রের চেম্বারে দালালদের মাধ্যমে প্রতিদিন অনেক রোগী ও তার স্বজনরা পাতা পঁচা পানি নিতে আসতো। আর এর বিনিময়ে বেশ মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতো বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপন দেবনাথ জানান, আবদুল্লাহপুর গ্রামে অবস্থিত দুলাল চন্দ্রের বাড়িতে গিয়ে প্রথমেই ড্রামের মধ্যে জমিয়ে রাখা লতাপাতার পচা পানিসহ ড্রামগুলো ধ্বংস করি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ভ- কবিরাজের দোকানটি (চেম্বার) সিলগালা করে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদ- ও অনাদায়ে দুই মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। পরে ওই প্রতারক কবিরাজকে অর্থদ- পরিশোধ করেন। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসিবুর রহমান, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকোশলী মো.হাবিবুর রহমানসহ চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ সদস্যরা।
আপনার মতামত লিখুন :