ডেস্ক রিপোর্ট : ২০১৮ সালের রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরে বাংলাদেশে ভিসা কার্ডের ব্যবহার ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে লেনদেন গত বছরের উৎসবের মৌসুমের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি হয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্ট প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসার পেমেন্ট ট্রেন্ডস প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিসা কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভোক্তারা ২০১৭ সালের তুলনায় এ বছরের রোজার মাস ও ঈদে তুলনামূলক বেশি খরচ করেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে গড় ব্যয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য মাসের তুলনায় রোজার মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে ভোক্তাদের খরচ করার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশের ভিসার অফিস থেকে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো ভিসার ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার গ্রুপ কান্ট্রি ম্যানেজার টিআর রামা চন্দ্রন বলেন, ভোক্তাদের ব্যয়ের এ ধরণ স্পষ্টতই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের মানুষ নগদ অর্থবিহীন লাইফস্টাইলকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। কার্ডের সুবিধা, নিরাপত্তা ও ব্যবহারের সহজ উপযোগিতা ভোক্তাদের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে সহজে লেনদেনে সহায়তা করবে।
২০১৮ সালের রমজানে মাসে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে পোশাক ও অ্যাকসেসরিজ, রিটেইল দোকান ও ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানে লেনদেন যথাক্রমে ১০, ৩ ও ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ই-কমার্স লেনদেন ও ভোক্তাদের খরচ সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮ শতাংশ যা সর্বমোট বিক্রির প্রবৃদ্ধিতে ৮ শতাংশ অবদান রেখেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এয়ারলাইন্স (২০ শতাংশ), শিক্ষা ও সরকার (১৫ শতাংশ) এবং ভ্রমণ সেবাখাত (১৩ শতাংশ) ই-কমার্স বাজারে ব্যয়ের শীর্ষে রয়েছে।
রমজান মাসের এ প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিকভাবে ভিসা কার্ডের ব্যবহার ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে ভিসা কার্ডের ব্যবহার ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বেশি হয়েছে। আর আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণসেবা এবং হোটেল ও এয়ারলাইনস ব্যবসাখাত ভিসা কার্ড ব্যবহারে এগিয়ে রয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, বাংলাদেশিরা দেশের বাইরে ভ্রমণের সময় পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে ভিসাকেই প্রাধান্য দেয়।
বিশ্বের আরও বেশি জায়গায় বেশি মানুষকে ভিসা নেটওয়ার্কে লেনদেনের সুযোগ করে দিতে ভিসা ধারাবাহিকভাবে নিজেদের সেবার অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে। ভিসার পণ্য ও সেবা বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত রয়েছে। সূত্র : পরিবর্তন
আপনার মতামত লিখুন :