শিরোনাম
◈ গাজীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকের মৃত্যু ◈ প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল ◈ এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ৪ পুলিশ সদস্যসহ আহত ২০ ◈ মার্চ মাসে সারাদেশে ৬২৪ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫০, আহত ৬৮৪  ◈ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ◈ অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য আটক ◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০১৮, ১০:১৯ দুপুর
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০১৮, ১০:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাঠার শহর ঢাকা !

আহসান হাবীব : ঢাকা শহরকে এখন মাঠার শহর বলা যায় বা ঘোলের শহরও বলা যায়। (মাঠা এবং ঘোল একই জিনিস। এই লেখাটা লেখার আগে আমি সত্যি সত্যিই রাস্তার ধারে ১০ টাকা দিয়ে এক গ্লাস মাঠা খেয়ে মাঠাওলার কাছে জিজ্ঞেস করে কনফার্ম হয়েছি)। ঢাকা শহরে এখন মেট্রোরেলের কাজ চলছে সে জন্য রাস্তা কাটাকুটি চলছে, স্যুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছে, ফুটপাত, ড্রেনের কাজও চলছে...সে জন্যও কাটাকাটি চলছে আর কাটাকাটি মানেই মাটি, কাদা, পানি, ময়লার বিশাল এক ব্লেন্ডিং সঙ্গে হঠাৎ হঠাৎ ফ্রি ফ্রি বৃষ্টি তো আছেই। ফলে যা হয় মুহূর্তে ঢাকা শহরের রাস্তায় অলিতে-গলিতে থক থকে বাদামি রঙের মাঠা বা ঘোলের সমুদ্র হয়ে ওঠে!

গভীর রাতে একবার ঢাকার এক অ্যাপার্টমেন্টে এক চোর ধরা পড়ল, চোর অবশ্য কিছু নিতে পারেনি। যা হোক, চোরের প্রাথমিক ধোলাই পর্বের পর ঠিক করা হলো ব্যাটাকে মাথা কামিয়ে ঘোল ঢেলে বিদায় করা হবে (এত রাতে পুলিশি ঝামেলায় কেউ যেতে চাচ্ছে না)। কিন্তু এত রাতে ঘোল কোথায় পাওয়া যাবে? একজন জানালো তার ডিপফ্রিজে ঘোল আছে তবে জমাট বেঁধে আছে গলতে সময় লাগবে। চোর তখন বলল, মাথা কামান সমস্যা নাই। কিন্তু স্যারেরা, এত ঠাণ্ডা ঘোল মাথায় ঢাইলেন না, আমার আবার ঠাণ্ডার ধাত পরে নিউমোনিয়া হয়ে মারা পড়ব আপনারা সব মার্ডার কেসে ফাঁসবেন! চোরের গলায় মার্ডার কেস শুনে দু’একজন পিছিয়ে গেল।

একজন সাহসী অবশ্য চোরের কোমরে লাথি দিয়ে বলল ‘হারামজাদা তোর এত বড় সাহস, মার্ডার কেসের ভয় দেখাস? দাঁড়া তোকে ওই রাস্তার মাঠায় চুবিয়ে মারব।’ এই কথায় মনে হলো চোর বিশেষ বিরক্ত হলো। বিড়বিড় করে বলল ‘স্যারেরা যা করার জলদি করেন ফজরের আজানের আর দেরি নাই, তার আগে আরও দু’একটা বাড়িতে ঢুঁ মারতে হবে। আমারও তো ঘর সংসার আছে নাকি...কামাই রোজগারের ধান্ধা করতে হয়...?’ সেই চোরের শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল তা অবশ্য জানা যায়নি। বরং চোরের প্রসঙ্গ থাক। আবার ঘোল বা মাঠা প্রসঙ্গে ফিরে আসি।

বাজারে এখন সুন্দর সুন্দর সব বোতলে করে মাঠা বিক্রি হয়। খেতেও বেশ সুস্বাদু। আমিও মাঝে মধ্যে কিনতাম। কিন্তু হঠাৎ একদিন টিভির খবরে দেখি এসব সুস্বাদু মাঠা তৈরির কারখানায় সরেজমিন তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেছে, তারা সেই মাঠা তৈরির প্রক্রিয়ায় সাদা টয়লেট পেপার ব্লেন্ডিং করছে।
খাবারে তো কতরকম ভেজালই মেশানো হয়। কিন্তু তাই বলে টয়লেট পেপার? সত্যি সেলুকাস, কি বিচিত্র..কি আর বলব সেলুকাস বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই ভিমড়ি খেতেন শুনে!
সেদিন এক দোকানে গেলাম টয়লেট পেপার কিনতে!
-টয়লেট পেপার আছ?
-লালটা আছে
-সাদাটা নেই?
-না
-মাঠা আছে?
-আছে!
প্রিয় পাঠক কিছু কি বোঝা গেল?
‘সত্যি হিজ হাইনেস আলেকজান্ডার, কি বিচিত্র...’এবার না হয় সেলুকাসই বললেন আলেকজান্ডারকে!

আহসান হাবীব : রম্যলেখক/ পরিবর্তন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়