ডেস্ক রিপোর্ট: সরকার নাকি একটা শরীর যন্ত্রের মতো কাজ করে, তাই যদি হয় তাহলে শরীরে অনেক রোগ হয়, বাংলাদেশে সে হিসেবে অসুস্থ সরকার ছাড়া কোন কালে কোন সরকার ছিলোনা, এবং পৃথিবীব্যাপী সরকারের প্রধানতম অসুখ ‘ফোবিয়া” আর বাংলাদেশের মতো দেশের সরকারের থাকে ‘ প্যেনিক এট্যাঁক টাইপের রোগ, যেখানে রোগীর নিয়ন্ত্রন থাকেনা নিজের উপরে অতি ভয়ে।
বাংলাদেশ সরকারের ফোবিয়াগুলো আমরা জানি, সাধারন ছাত্র, গার্মেন্টস শ্রমিক, এবং সাধারন মানুষ, আরও অনেক ফোবিয়ার কথা আপনারা বলতে পারবেন, কিন্তু তাদের পুরনো কিন্তু নতুন ভাবে ফোবিয়া তৈরি হয়েছে আলোকচিত্রী দের নিয়ে, এবং তারা নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে দেখলেই তেড়ে আসছেন রড নিয়ে, মারছেন, চাপাতি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন, এবং এপির ফটোগ্রাফার আহাদ সহ অনেক কে বিরোধীদল মনে করে যে আক্রমন করেছেন, এবং দৃক এর প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম কে গ্রেফতার করে প্রমান করলেন এই সবই তাদের প্যেনিক এটাক রোগের বহিঃপ্রকাশ।
ফটোগ্রাফার’রা রাষ্ট্রের বন্ধু তখন যখন গণতান্ত্রিক সরকার থাকে, আর রাষ্ট্রের শত্রু বা বিরোধীদল গণ্য হন যখন ফ্যেসিসট সরকার থাকেন, এদের জন্য ফটোগ্রাফার ঘটনার সাক্ষী, তাই বাংলা সিনেমার মতো সাক্ষী কে মিটাবার চেষ্টা করে।
বাংলাদেশেও তাই হচ্ছে ক্যামেরা দেখলেই আঘাত, এমনকি রাস্তায় কোন সাধারন মানুষ ছবি তুলতে পারবেনা, তাদেরও হুমকি দিয়ে থামিয়ে দিচ্ছে সদ্য দলীয় ভাবে হেলমেট পাওয়া ছাত্রলীগ।
কিন্তু এই আক্রমণাত্মক আচরণের কারন কি ? এর কারন সরকার ন্যায্য কথা বলা শিশু- কিশোর কে ভয় পেয়েছেন, যারা স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই সরকার ন্যাংটা, এবং এই শিশুকিশোরদের রাস্তা থেকে ঘরে ফিরিয়ে নিতে তারা যে নোংরামি করবেন তা সম্ভব হবেনা যদি ফটোগ্রাফার”রা মজুদ থাকে, অতএব ঘটনার সাক্ষী রাখা যাবেনা, এই মর্মে তারা এমন আচরন করলেন।
এবং এই আন্দোলনের সফলতার একটা বড় কারন, ভাইরাল হওয়া বেশ কিছু ভিডিও ও ছবি, তাই সরকার কয়েক কোটি মানুসের ক্যামেরা কে নিয়ন্ত্রন করতে চেয়েছেন, যা হাস্যকর এক চেষ্টার শামিল। এবং এই চেষ্টা দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত হয়েছেন আলকচিত্রি শিল্পী নির্যাতনের দেশ হিসেবে।
এই ছবিতে কে কাকে মারছে আমরা এখন আশা করি জানি।
এবং পরিশেষে বলতে চাই, ভুলেও আপনাদের কাছে মাইর খাওয়ার বিচার চাইনা, কারন আপনাদের উপরে আর বিন্দুমাত্র আস্থা নাই, কিন্তু অবিলম্বে আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলম কে মুক্তি দিন।
লেখক: সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :