ডেস্ক রিপোর্ট: বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের জন্য লঞ্চ দুই ঘণ্টা অপেক্ষা না করায় গত তিন দিন ধরে এমভি ফারহান নামের দুটি লঞ্চকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ ঘাটে যাত্রী ওঠা-নামা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটার পর থেকে দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন শত শত যাত্রী।
এমপির নির্দেশে তার অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে লঞ্চঘাটে অবস্থান করে যাত্রী ওঠানামায় বাধা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে জানা যায়।
এ দিকে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ঘাটের প্রায় দুই কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পংকজ দেবনাথ এমপি বলেন, জনগণ যদি কোনো লঞ্চ ঘাটে ভেড়াতে না দেয়, তাহলে বিষয়টি দেখবে বিআইডব্লিউটিএ। আমি কি? আমি যদি লঞ্চ ভিড়াতে বাধা দিই তবে, আমার বিরুদ্ধে তারা মামলা করুক।
হয়রানির শিকার এমভি ফারহান-৪ লঞ্চের সুপারভাইজার জাকির হোসেন জানান, হাতিয়া-ঢাকা রুটে তাদের দুটি লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করে। গত তিন দিন ধরে তাদের লঞ্চ দুটিকে কালীগঞ্জ ঘাটে যাত্রী নামাতে কিংবা ওঠাতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘাট সুপারভাইজার রাকিব হোসেন লাঠিসোঁটা ও লোকজন নিয়ে ঘাটে অবস্থান করে থাকেন। তাই বাধ্য হয়ে তারা যাত্রীদের ঘাট থেকে দুই কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দিচ্ছে।
কালীগঞ্জ লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার রাকিব হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে ফারহান লঞ্চকে ঘাটে অবস্থান করে
এমপি পংকজ দেবনাথকে নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা না নেওয়ায় ওই কোম্পানীর লঞ্চগুলোকে এমপির নির্দেশেই লঞ্চ ঘাটে ভিড়তে দেওয়া হচ্ছে না। আর যতদিন পর্যন্ত ওই লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এমপির সঙ্গে মীমাংসা না করবে, ততদিন এই ঘাটে তাদের লঞ্চ ভিড়তে দেওয়া হবে না।
এমভি ফারহান-৩ লঞ্চের কেরানী মো. আলাউদ্দিন বলেন, গত বুধবার কালীগঞ্জের পন্টুনে লঞ্চ ভিড়তে চাইলে রাকিবের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। যার কারণে আমাদের দুটি লঞ্চের একটিও ওই ঘাটে ভিড়তে পারছে না।
বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে বিস্তারিত জানা নেই।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন খান জানান, তিনি বিষয়টি শুনে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। এখন এমপির সঙ্গে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ মিটমাট করে নিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়
আপনার মতামত লিখুন :