শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:২৩ সকাল
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মংলা সমুদ্র বন্দর ঘুষ ছাড়া অচল, আমদানীকারকেরা এখন দিশেহারা!

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: ঘুষ ছাড়া মংলা সমুদ্র বন্দরের জেটি থেকে বের হয় না আমদানীকৃত রিকন্ডিশন গাড়িসহ কন্টেইনারের বিভিন্ন পণ্য। লাগামহীন ঘুষের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় আমদানীকারকেরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের অভিযোগ, বন্দর জেটির অভ্যন্তরের সিনিয়র আউটডোর এ্যাসিন্টেট ইবনে হাসানের স্বেচ্চাচারীতায় অতিষ্ঠ তারা। টাকা না দিলে গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্যের ছাড় করণের বিল ভাউচার দেন না তিনি। এ অবস্থায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ঘুষ দিয়ে পণ্য ছাড় করেন আমদানীকারকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আমদানীকারক জানান, মংলা বন্দর থেকে প্রতিদিন ৫০ টি কিংবা তার কম-বেশি গাড়ি বের হলে সিনিয়র আউটডোর এ্যাসিন্টেট ইবনে হাসানকে গড়ে ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয়। কারণ হিসেবে তারা বলেন, ৫০ টি গাড়ীর বিল ভাউচার তার হাত দিয়েই করাতে হয়। তাকে সন্তষ্ট বা খুশি না করলে আমদানীকারকদের পক্ষে গাড়ি ছাড়ের বিলপত্র নেয়া অসম্ভব বলেও জানান তারা। এছাড়া তারা আরো বলেন, জেটির ভিতরে বিদেশ থেকে আমদানীকারকদের কন্টেইনারে আসা বিভিন্ন পণ্য ছাড়াতেও ইবনে হাসানকে ঘুষ দিতে হয়। এটা রীতিমত হয়রানি বলেও বন্দর ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। এর থেকে মুক্তি পেতে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও লাভ না হওয়ায় বন্দর ব্যবহারকারীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।

গাড়ি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান বারভিডা’র সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, এসব অসাধু ব্যক্তিদের কারণে আবারো মোংলা বন্দর ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন বলে হুঁশিয়ারী দেন।

বারভিডা’র সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্য ছাড় করতে যে ঘুষ দিতে হয় সেটা আমাদের সয়ে গেছে। এখন আর আমরা এটা নিয়ে ভাবিনা, স্পীড মানি দিতেই হবে।

তিনি আরো বলেন, বন্দর জেটি থেকে এসব অসাধু কর্তাদের জন্য গাড়ীর যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন।

এ বিষয়ে সিনিয়র আউটডোর এ্যাসিন্টেট ইবনে হাসানের সাথে যোগাযোগ (মোবাইলে) করা হলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে কোন মন্তব্য না করে ফোন কেটে দেন। এরপরও তার সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পার্সোনাল শাখা সূত্র জানায়, সিনিয়র আউটডোর এ্যাসিন্টেন্ট ইবনে হাসানের চাকরিটাই হয়েছে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে। সম্পূর্ণ ভুয়ার উপর ভর করে তার চাকরি চলছে।

সূত্র আরো জানায়, তিনি যে সময়ে চাকরিতে ঢুকেছেন সেই সময়ে তার নিজ জেলা কোঠা ছিল না। ২০১৩ সালে গোপালগঞ্জের কোঠা না থাকলেও তিনি এ কোঠায় কিভাবে ঢুকলেন জানতে চাইলে ইবনে হাসান বলেন, তিনি সে সময় পোষ্য কোটায় ঢুকেছেন। তবে সে সময়ও (২০১৩) পোষ্য কোটা ছিল না বলে বন্দরের পার্সোনাল শাখা নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে মংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) প্রণব কুমার রায় বলেন, চাকরির বিধিমালা লংঘন করে বন্দরে কেউ চাকরি নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়