শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:১৫ সকাল
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সশস্ত্র হেলমেট বাহিনীর গ্রেফতার কতদূর?

সজিব খান: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের টানা আট দিনের আন্দোলন শেষ হয় গত ৫ আগস্ট৷ তবে এরপরও আরো দু'দিন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন চালায়৷ আন্দোলনের শেষের দুই-তিনদিন হেলমেট পড়ে সশস্ত্র অবস্থায় কিছু যুবক ধানমন্ডি, জিগাতলা এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে থেকেই শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে৷ তাদের মাথায় ছিল হেলমেট এবং হাতে লাঠি, রড, জিআই পাইপ এবং রামদা ও চাপাতি দেখা গেছে৷ এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালাতেও দেখা গেছে একাধিক যুবককে৷ কিন্তু পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েই হামলায় অংশ নিলেও তারা কারা, এখন আর সে ব্যাপারে কিছু বলছে না পুলিশ৷

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন সাংবাদিক ও ছাত্রদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হবে কিনা? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘‘কেউ অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব৷ আমরা নিজেরাও হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি৷''

হামলার শিকার বণিক বার্তার ফটো সাংবাদিক পলাশ শিকদার বলেন, ‘‘হেলমেটধারীরা সায়েন্স ল্যাবরেটরি পুলিশ বক্সের পাশে রাস্তায় আমাদের মারধর করে৷ আমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং ভেঙ্গে ফেলে৷ তারা রড এবং পাইপ দিয়ে আমাদের পেটায়৷ এমনি রামদার পিছন দিক দিয়ে আঘাত করে৷ হামলার সময় পুলিশ ছিল৷ কিন্তু তারা আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি৷ তিনি বলেন, “হামলাকারীরা কোনোভাবেই শিক্ষার্থী হতে পারেন না৷ ধারণা করছি তারা ছাত্রলীগ-যুবলীগের৷ তারা প্রকাশ্যে রাস্তায় সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছিল৷''

হামলার পুরোটা সময় হামলাকারীরা পুলিশের সঙ্গে থাকলেও পুলিশ তাদের তখন গ্রেফতার বা আটক করেনি৷ এরপর তথ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কথা বললেও গত এক সপ্তাহেও এর কোনো অগ্রগতি নেই৷

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, ‘‘যারা হামলা করেছে, তাদের ছবি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে৷ তাদের ভিডিও ফুটেজ আছে৷ তারা চিহ্নিত৷ তাদের গ্রেফতার করতে হবে৷ আমরা হামলাকারীদের গ্রেফতার দেখতে চাই৷ এরমধ্যে যদি গ্রেফতার না হয় ১৬ আগস্ট আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করব৷''

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট মানবাবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘এই যে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ৷ যার সশস্ত্র হয়ে আক্রমণ করলো নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপরে৷ সেখানে যদি পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আইনের প্রতি, বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষ আরো বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়বে৷ যা করা হচ্ছে তা উচিত নয়৷ এটা অত্যন্ত অন্যায় বলে আমরা মনে করি৷''

ছাত্র ও সাংবাদিককদের ওপর হেলমেটধারী হামলাকারীরা এখনো কেন গ্রেফতার হয়নি জানতে চাইলে ডিএমপি উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘‘এই সময়ে যা ঘটেছে তার সবকিছু নিয়েই কাজ করছে পুলিশ৷ যেসব ঘটনায় মামলা হয়েছে সেখানে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি এবং নিচ্ছি৷ ছাত্র ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হলে আমাদের পক্ষে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হত৷ কিন্তু তারপরও আমরা কাজ করছি৷ বেশ কিছু দুর্বৃত্তকে চিহ্নিত করেছি৷ তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ আমাদের পুলিশ সদস্যরাও হামলার শিকার হয়েছে৷ তারাও আহত হয়েছে৷ তাদের ওপর হামলাকারীদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে৷''

ভিডিও ফুটেজ, ছবি এবং গোয়েন্দা ও নিজস্ব সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলেও জানান মাসুদুর রহমান৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়