শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:০০ সকাল
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়েই জীবন যাদের শুরু

প্রকৌশলী নওশাদুল হক : বিগত দু’তিনশ বছরের ইতিহাসকে দুটি ধারায় বিভক্ত করলে প্রথমটি ট্রেডিশনাল বা সনাতন, আর সবশেষটি অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয়। ট্রেডিশনাল ত্রিভুজ আকৃতির ধারা। যা ফিজিক্যাল, মেকানিক্যাল এবং ইলেকট্রিক্যাল নামক তিনটি বাহুর সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত। এই ধারার পরিবর্তন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনুন্নত কিংবা উন্নয়নশীল দেশসমূহে এই ধারা পরিবর্তনের প্রতিটি লগ্নের ধারক ও বাহক বর্তমান সময়ের মধ্যবয়সী ব্যক্তিবর্গ। যারা সনাতনের শেষ লগ্নে দুনিয়াতে আবির্ভাব হলেও অটোমেশনে রুপান্তর চেয়ে চেয়ে দেখছে। আবার অটোমেশনকে আয়ত্ত করার চেষ্টাও করছে কেউ কেউ।উন্নত বিশ্বে সনাতন যুগের শেষ লগ্নের স্বাক্ষ্য দেয়ার কেউই হয়তবা এখনও অবদি বেঁচে নেই। কারণ, উন্নত দেশসমূহ অটোমেশনে প্রবেশ করছে বেশ পূর্বেই।

“নলেজ ইজ পাওয়ার” সনাতন যুগের উল্লেখযোগ্য শ্লোগান। যে ব্যক্তির জ্ঞান বা শিক্ষা যত বেশি,সেই ব্যক্তিই ততবেশী শক্তিশালী। কিন্তু অটোমেশনে প্রবেশের সাথে সাথেই এই শ্লোগান অচল প্রায়। অচল বলাতে আতকে উঠার কিছু নেই। কারণ, আপগ্রেডেশানের পর যে কোন বিষয়েরই পূর্ববর্তী তত্ত্ব অচল পড়ে বৈকি! আর অটোমেশনের প্রবেশ লগ্নে সনাতনকালীন সময়ের শ্লোগানের আপগ্রেড ভার্সন হচ্ছে”ইনফরমেশান ইজ পাওয়ার”। যার কাছে যতবেশি ইনফরমেশান,সেই ততবেশী শক্তিশালী।

ট্রেডিশনালের ন্যায় অটোমেশনও ত্রিভুজাকারের হাই পাওয়ার বন্ডিং। টেকনোলজি, ইনফরমেশান এবং গতি এই ত্রিভূজের তিনটি বাহু। এই মুহুর্তে জন্মগ্রহণকারী শিশুটি টেকনোলজি সমৃদ্ধ মাথায় হাত ভর্তি ইনফরমেশান নিয়ে দ্রুতগতির পায়ে হেটে পার্থিব জগতে আবির্ভাব। সংগে নিয়ে আসা অটোমেশন ত্রিভুজের হাই পাওয়ার্ড তিনটি বন্ডিং বাহুর প্রভাবেই অল্প বয়সেই যাচ্ছে ডিজিটালাইজড। তাদের কারও কারও জীবনে ফিজিক্যাল, ইলেকট্রিক্যার কিংবা মেকানিক্যালের ক্ষীণ প্রভাব থাকলেও অধিকাংশের ক্ষেত্রেই অনুপস্থিতি লক্ষণীয়। টেলিফোনে নয়, সে কথা বলে মোবাইল ফোনে। ঢাকা হতে সিলেটে যায় আট ঘন্টায় নয়,আধ ঘন্টায়। ছবি সংরক্ষণ করে ফটো অ্যালবামে নয়,মেমোরি কার্ডে। খোলা মাঠে আর দুর্বা ঘাসে নয়,ঘরে বসেই ল্যাপটপে খেলতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তারা। রোবট কর্তৃক পরিবেশনা সমৃদ্ধ রেষ্টুরেন্টে খেতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে ভাল লাগে তাদের। লাইব্রেরিতে গিয়ে তারা বই পড়বে? অসম্ভব! নোট প্যাড কি কোন দোষ করেছে? ডাক পিয়ন আর পোস্ট অফিসের সাথে তাদের কারোরই পরিচয় হয়নি কোন কালেও। মায়ের কাছে তার আগমের বার্তা প্রেরণ করে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের মাধ্যমে। যে রিপোর্ট ই-মেইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের হার্ডডিস্কে সেইভ থাকে।এটা তাদের গুন বা দোষের কিছু নয়। অটোমেশনেই যার জন্ম, অটোমেশনইতো হবে তার সংস্কৃতি!

এ প্রজন্মের সন্তানদের মতো আমরাও চাই উন্নত প্রযুক্তি, প্রতিনিয়ত আপগ্রেড ইনফরমেশান এবং দ্রুতগতির জীবন। সে অবস্থানে পৌছাতে অর্থাৎ সনাতন ধারার পরিবর্তের জন্য আমাদেরও চেষ্টা অবিরত ও অব্যাহত। কিন্তু সেক্ষেত্রে সফলতা চোখে পড়ারমতো নয়। পক্ষান্তরে বর্তমান প্রজন্মের চেষ্টা ছাড়াই স্বাভাবিক জীবন ধারা, মধ্যবয়সীদের আপ্রাণ চেষ্টারত জীবন সংগ্রামের চেয়ে শতগুন প্রযুক্তিলব্ধ।এ প্রজন্মের সন্তানেরা জীবন সংগ্রাম শুরু করে পরে সিস্টেমকে পরিবর্তন করে না। বরং পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়েই তাদের দুনিয়াতে আবির্ভাব। নিজেদের অধিকার আদায় বা সংরক্ষণে সদ্য সমাপ্ত “নিরাপদ সড়ক চাই” বিষয়ক অভিনব আন্দোলনই এর জ্বলন্ত প্রমান। অর্থাৎ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বড়রা যেখানে যুগ যুগ ধরে ব্যার্থ, অটোমেশন যুগের ফোরজির স্পিডে ছোটরা ক্রমশই সেক্ষেত্রে সফলতার দ্বারপ্রান্তে।

লেখক: সভাপতি, ঢাবি সমাজকল্যাণ এ্যালামনাই ফোরাম/সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়