শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০১৮, ০৩:৪৯ রাত
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০১৮, ০৩:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মরিচের মরণ

প্রভাষ আমিন : ২৯ জুলাই থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে টানা ৯ দিন অচল ছিল দেশ। শেষের চারদিন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছিল অঘোষিত পরিবহণ ধর্মঘট। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে এর মধ্যেই ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ট্রাফিক সপ্তাহ এখনো চলছে। শিক্ষার্থীদের দেখানো পথ ধরে এবার নজিরবিহীন সাফল্যের সঙ্গে চলছে ট্রাফিক সপ্তাহের কার্যক্রম। ট্রাফিক পুলিশ এবার তাদের সঙ্গে নিয়েছে স্কাউটদের। ট্রাফিক সপ্তাহের প্রথম ৬ দিনে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪২৩টি মামলা হয়েছে, জরিমানা হয়েছে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৪০ হাজার ৬০৩ জন চালকের বিরুদ্ধে। এ সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এ কার্যক্রম আরও ৩ দিন বাড়ানো হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি মালিক সমিতিও গাড়ির কাগজপত্র, ফিটনেস পরীক্ষা করছে।

সব মিলিয়ে রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বহুমুখী চেষ্টা চলছে। এটা অবশ্যই  কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাফল্য। কিন্তু এই সাফল্যের আলোর আড়ালে লুকিয়ে আছে দুর্ভোগের একটা দীর্ঘ অধ্যায়। ২৯ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট, টানা ১৪ দিন রাজধানীর গণপরিবহণ ব্যবস্থায় অস্থিরতা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ভয়ে অনেক গাড়ি রাস্তায় নামেনি। পরে তো তারা নিজেরাই অঘোষিত ধর্মঘটে চলে গেল। এখনো ট্রাফিকের ভয়ে পর্যাপ্ত গাড়ি রাস্তায় নামছে না। তারমানে ২৯ জুলাইয়ের পর থেকে রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। আর এই অস্বাভাবিকতার সাইড অ্যাফেক্ট পুরোটাই পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। অফিসে বা গন্তব্যে যেতে তাদের দিনের পর দিন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আন্দোলনের সময় তো মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়েছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগ শেষ হয়নি।

সকাল অফিস টাইমে বা বিকেলে ছুটির সময় রাজপথের অবস্থা বোঝা যায় সাধারণ মানুষ কতটা অসহায়। পর্যাপ্ত বাস নেই, এই সুযোগে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে সিএনজি আর রিকশাচালকরা। অবস্থা দেখে আমার সেই পুরোনো প্রবাদটি মনে পড়ল, পাটা-পুতার ঘষাঘষি, মরিচের মরণ। এখন বাংলাদেশের জনগণের অবস্থা সেই মরিচের মতো। কখনো সরকার পিষে, কখনো বাস পিষে, কখনো পুলিশ পিষে, সুযোগ পেলে সিএনজিওয়ালা বা রিকশাওয়ালাও পিষে দেয়। কবে যে ঢাকার রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরবে, পর্যাপ্ত গাড়ি থাকবে, গাড়ির ফিটনেস থাকবে, চালকের লাইসেন্স থাকবে, সড়ক নিরাপদ হবে? কবে যে সাধারণ মুক্তি পাবে? আমরা স্বপ্ন  দেখতেই থাকি।

লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়