লিহান লিমা: তুরস্কের মুদ্রার অবনতি ও অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেই দেশটির ওপর শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার নিউ ইয়র্ক টাইমস এ লেখা এক কলামে এরদোগান যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটন আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার ঝুঁকি নিলে আমরাও নতুন মিত্রের সন্ধান করব।
এরদোগান লিখেন, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানোর বদলে তারা যে আমাদের দেশের জন্য হুমকি তা প্রমাণ করেছে। খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে ওয়াশিংটনের অবশ্যই ভুল পথ পরিহার করা উচিত। তা না হলে তুরস্কের কাছে সবসময়ই বিপরীত পথ আছে।
শুক্রবার তুরস্কের মুদ্রার নাম ডলারের বিপরীতে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে। বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ দাম কমেছে লিরার। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতো দ্রুত লিরার মান কমছে যে ধীরে ধীরে দেউলিয়াত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় অর্থনীতির তালিকায় ১৮ নম্বরে থাকা দেশটি।
এর মধ্যে শুক্রবারই ট্রাম্প প্রশাসন তুরস্ক থেকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে শুল্কবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে বিশ্ববাণিজ্যে তুর্কি লিরার ওপর আস্থা আরো কমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমাদের খুব শক্তিশালী ডলারের বিপরীতে লিরার দাম দ্রুতই কমছে। তুরস্কের সাথে আমাদের সম্পর্ক এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাচ্ছে না।’
নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখা উপ-সম্পাদকীয়তে এরদোগান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কখনই তুরস্কের জনগণের উদ্বেগ অনুধাবন বা সম্মান করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের তুরস্কের সমস্যা বুঝতে হবে। তা নইলে, আমাদের সম্পর্ক আরো জটিল হবে।’
তুরস্কে আটক মার্কিন যাজক অ্যান্ড্রু ব্রুনসনের মুক্তি, সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের মার্কিন সমর্থন, রুশ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে তুরস্কের আগ্রহ, এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে উসকানিদাতা হিসেবে অভিযুক্ত ফেতুল্লাহ গুলেনকে ফেরত আনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংকট চলছে। ডয়েচে ভেলে, আল জাজিরা।
আপনার মতামত লিখুন :