লিহান লিমা: পোশাকের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করায় বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতের বাজারে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে চীন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের বস্ত্রশিল্পের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করায় বাংলাদেশের মাধ্যমে ঢোকানো হচ্ছে চীনা পণ্য।
এক সপ্তাহ আগে চীনের ৩০০টি টেক্সটাইল পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করে ভারত। যা আগে ছিল ১০ শতাংশ। কয়েক মাসের মধ্যে চীনের টেক্সটাইল পণ্যের ওপর এটি দ্বিতীয়বারের মত বাড়ানো হয়েছে এই শুল্ক। স্থানীয় বস্ত্রশিল্পের প্রসার এবং সম্ভাবনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই শুল্ক কার্যকর করে দিল্লী।
ভারতে এই শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কর্মীর সংখ্যা পাঁচ কোটিরও বেশি। ২০১৮ অর্থবছরে ভারতের আমদানিকৃত বস্ত্রপণ্য ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড করে। যার মধ্যে ৩ বিলিয়নের পণ্য আমদানি করা হয় চীন থেকে। ভারতে এই শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কর্মীর সংখ্যা পাঁচ কোটিরও বেশি। ভারতের জিডিপি-র পাঁচ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে, রপ্তানি থেকে আসে আরও ১৩ শতাংশ।
শিল্প কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মাধ্যমে বস্ত্রশিল্পের কাঁচামাল চীন থেকে ভারতে প্রবেশ করে। বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলংকার দক্ষিণ এশিয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় ফলে ভারতের ১০ হাজার কোটির টেক্সটাইল বাজারে সহজেই প্রবেশ করতে পারছে বাংলাদেশ।
‘কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার সঞ্জয় জৈন রয়টার্সকে বলেন, ‘চীন থেকে বাংলাদেশে বস্ত্রশিল্পের কাঁচামাল আসে আর তা পৌঁছে যায় ভারতে।’ ভারতের এই শুল্কারোপ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে চীন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে পাল্লা দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে তৈরি পোশাকের ৪০-৫০ শতাংশ তৈরি হয় চীনের কাপড় দিয়ে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, চীনের পোশাক পণ্যে দিল্লি বাড়তি শুল্ক বসানোয় ভারতের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর ফলে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সুফল কাজে লাগিয়ে ভারতের তৈরি পোশাকের বাজারে চীনের জায়গা দখল করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছিলেন রপ্তানিকারক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :