সুজন কৈরী : মসজিদের টাকার আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে মতিউর রহাম ঢালী নামের একজন মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার বিচার দাবি করেছেন আহত মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ও ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রী আকিলা আফরিন নীলা।
শনিবার দুুপরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোশিয়েশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিচারের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব ছাব্বিশপাড়া গ্রামে। তার বাবা মতিউর রহমান ঢালী (৭২) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২০০৫ সালে ২৫ আগষ্টে পাওয়া গেজেট নং ৫৫৫। মুক্তিবার্তা লাল বই নং ০১১২০৬০১৩৩। তার বাবা একজন বৃদ্ধ মানুষ। গ্রামের বাড়িতে তাদের নিজস্ব মসজিদের (গঙ্গনগর জামে মসজিদের) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তার বাবা। মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় গত ২৮ জুলাই রাতে এলাকার কালাম, কইয়ুম, সালাম, দোলন, জলিল, রব, কাইয়ুম, সৈয়দ, মিলনসহ কতিপয় সন্ত্রাসী বাহিনী বাবাকে হাতুড়ী পেটাসহ বিভিন্নভাবে মারধর করে। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় তার বাবাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎকের পরামর্শে তার বাবাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে চিকিৎসকরা তার বাবার কানের পর্দা ফেটে গেছে এবং মাথায় আঘাতের কারণে তার মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন।
চিকিৎসকরের বরাত দিয়ে নীলা বলেন, তার বাবার কানের চিকিৎসা দেশের বাইরে করাতে হবে। ঘটনার পরও সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। কারন তারা এলাকায় মাদক কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত। তাদের প্রত্যেকের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
নীলার অভিযোগ, এর আগেও তার বাবার ওপর এই সন্ত্রাসী বাহিনী তিন বার হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়। ওই সময় এই সন্ত্রাসীরা জনসমুক্ষে ক্ষমা চায়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই আবার সন্ত্রাসীরা বাবার ওপর হামালা চালায়। ঘটনার দিন বাবা মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে বেড়িয়ে আসছিলেন।
নীলা বলেন, আমার বাবা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। আজ এই স্বাধীন দেশে কতিপয় সন্ত্রাসীদের হামলায় বাবার জীবন ঝুকির মধ্যে রয়েছে। আমি বাবার ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও র্যাবের ডিজির কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :