হ্যাপী আক্তার : আমদানি-রপ্তানিতে সম্ভাবনাময় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি। তবে, সম্ভাবনা থাকা সত্বেও পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না হিলি স্থলবন্দরকে।বিগত বছরগুলোতে ভারতে অল্প সংখ্যক পণ্য রপ্তানি করে কিছু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করলেও, এখন তা নেমে এসেছে শূন্যের কোটায়। বন্দরের সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দু’দেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে রপ্তানি আবারো বাড়বে বলে মনে করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
পদ্মাসেতু নির্মাণে পাথর আমদানি বাড়ায় গেলো অর্থবছর হিলি স্থলবন্দরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয় পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, খৈল, ভুষি, পাথর, চাল, মটরযান যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী। যার বেশিরভাগই শুল্কমুক্ত।
বিনিময়ে রপ্তানি হচ্ছে রাইসব্র্যান্ড অয়েল, সুতা, পানির পাম্প-মাত্র এই তিনটি পন্য। তবে রপ্তানিকারকরা জানান, চিটাগুড়, ঝুট কাপড়, সুতা, কলা, শাক-সবজিসহ আরো কিছু পণ্যের ভারতে চাহিদা থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র পণ্যই রপ্তানি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিলির ভারতীয় অংশে নেই সহকারী কমিশনার বা কমিশনারের অফিস, নেই উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্র। হচ্ছে না অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেছেন, আমাদের দেশে অনেক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। এসব ফ্যাক্টরির ঝুট কাপড় ভারতে অনেক চাহিদা আছে, কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে এসব জিনিস ঠিকমত রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও হিলির ভারতীয় অংশে কাস্টমস অফিসার বা উচ্চ পদের কোন কর্মকর্তা নেই। এই ধরনের সমাস্যাগুলো যদি উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এর সমাধান বের করতে পারে,তাহলে উভয় দেশই অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো।
হিলি কাষ্টমস বলছে, গেলো অর্থ বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ২শ কোটি টাকা। এরমধ্যে রপ্তানি খাতে আয় হয়েছে ১৩ কোটি ২৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
হিলি কাষ্টমসের ডেপুটি কমিশনার রেজভি আহম্মেদ বলেছেন, রপ্তানির জন্য আমরা ব্যবসায়ীদের আলাদা অবকাঠামো বা অন্য কিছু সুবিধা দিতে পারি। আমাদের যেসব প্রতিবেশি রাষ্ট্র আছে যাদের সাথে আমরা রপ্তানি করে থাকি, তাদের যদি আরেকটু সদিচ্ছা থাকে তাহলে এই অঞ্চল দিয়ে অনেক রাজস্ব আদায় সম্ভব। সূত্র : ডিবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :