হুমায়ুন কবির খোকন: ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলম আলজাজিরাকে সাক্ষাৎকারে যা বলেছেন তা সাংবাদিকতা পেশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় ষড়যন্ত্র করেছেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। বুধবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেছেন। তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম ষড়যন্ত্র করেছেন, সাংবাদিকতা নয়। তিনি আলজাজিরাকে-সাক্ষাৎকারে যা বলেছেন তা সাংবাদিকতা পেশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি টুইটারে যা লিখেন তাও সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে না।
তিনি বহুদিন ধরে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। এরপরও এই সরকারের সময় একচেটিয়া শত কোটি টাকার কাজ করেছেন কিছু উচ্চমার্গীয় ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায়। ওই টাকা দিয়েই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যেতেন। সরকারের কাছ থেকে পান্থপথে জায়গা বরাদ্দ নিয়ে নিজে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মিডিয়া অঙ্গনের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি অনেকদিন আগে আমাকে বলেছিলেন, তাকে একবার ডেকেছিলেন শহিদুল আলম। তিনি গিয়ে দেখেন ডেভিড বার্গম্যান সেখানে বসে আছেন। শহিদুল আলম ওই মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে চাপ প্রয়োগ করলেন দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই এই সংক্রান্ত স্বাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য, যা আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে প্রচার হবে। তবে সাক্ষাৎকার নিতে সফল হননি। তবে অনেকের ক্ষেত্রে তিনি সফল হয়েছেন, যা আমরা দেখেছি।
কে এই ডেভিড বার্গম্যান ? যিনি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে লবিং চালিয়েছেন, ব্যর্থ হয়ে এখন বিদেশে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন। তার আটকের খবরটিও প্রথম প্রকাশ করেছে বার্গম্যান।
শহিদুল আলমকে দেশের মানুষ আরেকটি পরিচয়ে চিনে। বেগম জিয়ার ফটোগ্রাফার এবং মুভি নির্মাতা, যিনি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য মুভিতে জিয়ার নকল কণ্ঠ ব্যবহার করেছিলেন।
এই শহিদুল আলম, মাহমুদুর রহমান ও ফরহাদ মজহার গং’রাই গণজাগরণের তরুণ প্রজন্মকে ”নাস্তিক” উপাধিতে ভূষিত করেছিল। মতিঝিলে হেফাজতের ঘটনায় সাড়ে তিন হাজার আলেম হত্যার গুজবের অন্যতম নায়কও তিনি। যে সংগঠনটি এই গুজবের বৈধতা দিতে চেষ্টা করেছিল সেই সংস্থা “ অধিকার” এর অনত্যম একজন তিনি।
কুখ্যাত রাজাকার সবুর খানের পরিবারের সদস্য এই শহিদুল আলম।
শিক্ষার্থীদের পরিবহন আন্দোলনকে সহিংস করার জন্য তিনি বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে উস্কানি দিয়েছেন।
তিনি ফটোগ্রাফার, ছবি তোলেন। কোনো অনুষ্ঠানে ছবি না তুললেও সবসময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যখনই কোনো ঘটনা ঘটে ঐটার ছবি সবার আগে তোলেন শহিদুল আলম। বিষয়টা এরকম যে উনি মনে হয় আগে থেকেই ঘটনার কথা জানেন। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আটকও হয়েছিলেন।
কোনো অনুমোদন ছাড়াই প্রায় দেড়যুগ শহিদুল আলম পাঠশালা নামক প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক,ডিপ্লোমা,শর্ট কোর্স,লং কোর্স সার্টিফিকেট দিয়ে কোটি কোটি টাকা কমিয়ে নিয়েছেন। কিছুদিন আগে অনুমোদন পেয়েছেন এই সরকারের সময়ই। এই অনুমোদন হয়ে যাওয়ার কারণেই এখন আর টাকা লুটপাট করতে পারেননা। সরকারের প্রতি তার ক্ষোভের এটাও একটা কারণ। ওখানকার একজন সাবেক শিক্ষকের অভিযোগ, বিদেশ থেকে এই পাঠশালার নাম অনুদান নিয়ে ব্যক্তিগত তহবিলে স্থানান্তর করেছেন। ফেসবুক
আপনার মতামত লিখুন :