শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:০৭ সকাল
আপডেট : ০৭ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে : রিজভী

শাহানুজ্জামান টিটু : প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই শিক্ষার্থীদর ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, গত পরশু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন “নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে । আমি এখন শঙ্কিত এসব স্কুল ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের উপর প্রচ্ছন্ন হুমকি। গতকাল দেশবাসী শেখ হাসিনার সোনার ছেলেদের সশস্ত্র আক্রমণ প্রমাণ করে দিয়েছে তার নির্দেশেই শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী অভিযোগ করেন, রামপুরায় ইষ্ট ওয়েষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে, আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় সরকারি দলের হামলাকারীদের হিংস্রতা তীব্র রূপ ধারণ করেছে। গত পরশুওতো ধানমন্ডিতে পুলিশ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আর কোন বাবা মায়ের কোল খালি হোক আমি চাইনা। তাঁর এ বক্তব্যও মানুষের মনে আতঙ্ক ধরিয়েছে। প্রতিনিয়ত মায়ের কোল খালি হচ্ছে গুম, খুন ও বিচারবর্হিভূত হত্যার মাধ্যমে। অবৈধ ক্ষমতা প্রলম্বিত করার জন্যই এ সর্বনাশা সহিংস নীতি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করছে সরকার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে মানুষ ‘কমিক এন্টারটেইনমেন্ট’ হিসেবে ধরে বলে মন্তব্য করেন রিজভী। গতকাল আবার ওবায়দুল কাদের সাহেব সাংবাদিকদের বলেছেন সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেনি। সাংবাদিকদের রসিকতা করে বলেছেন কারা হামলা করেছে তালিকা দেন। আমি বিচার করব। ওবায়দুল কাদের সাহেব সাংবাদিক ছিলেন বলেই আমি জানতাম কিন্তু তিনি এখন গণমাধ্যমে চোখ রাখা ভুলে গেছেন বলেই এ ধরণের অন্ধ, অজ্ঞ ও অর্বাচীনের মতো কথা বলছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব ছাত্রলীগের রাম দা, পিস্তল, লোহার রড ও লাঠি দেখতে পান না। কিছু চতুস্পদ প্রাণী আছে কালারব্লইন্ড, আর আওয়ামী সরকার হচ্ছে ক্ষমতাব্লইন্ড।

রিজভী বলেন, কামলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর অবিরাম হামলা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর, সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগ সশস্ত্র অবস্থায় হামলা করেছে তা দেখে দেশের মানুষ হতভম্ব। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর ও নিষ্ঠুর হামলায় ঘটনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসহ সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় বইছে।

তিনি বলেন, পুলিশ হলো আইনের রক্ষক, তাদের পাশে এসব অস্ত্রধারীরা। পুলিশ অস্ত্রধারীদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে এমন দৃশ্য কি কোন স্বাধীন দেশে চিন্তা করা যায় ? কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রক্তে রঞ্জিত হলো শেখ হাসিনার হাত। শেখ হাসিনা তাঁর গুন্ডাবাহিনীকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর লেলিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতারনার কথা নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে। এখন কি হচ্ছে, কোটা আন্দোলনকারীদের লাশ মিলছে নদীতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুম করা হচ্ছে। আবার গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে চালানো হচ্ছে অকথ্য নির্যাতন। ছাত্রলীগকে দিয়ে সশস্ত্র আক্রমণ করিয়ে রক্তাক্ত করা হচ্ছে, পঙ্গু করা হচ্ছে বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের অস্ত্রবাজরা-যাদের অনেকেই স্কুলের চৌকাঠ না ছুঁলেও হঠাৎ অর্থবিত্তে ফুলে ফেঁপে গডফাদারে পরিণত হয়েছে। সুতরাং তারা নির্দিধায় মাসুম স্কুল পড়ুয়াদের ওপর আঘাত করতে ছাড়ছে না। তাদের হামলায় রক্তাক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসা পর্যন্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। হাসপাতালেও হামলা করা হয়েছে এবং ডাক্তারদের চিকিৎসা না দিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সরকার উসকানির কথা বলে মামলা দিয়েছে বিএনপির মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের নামে।

বিএনপি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমর্থন দিয়েছে সকল রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সরকারের ভুল ধরিয়ে দিয়েছে। আপনারা তাদের সাধুবাদ জানালেন- এ কথা যদি উস্কানির পর্যায়ের না পড়ে তাহলে বিএনপি কোথায় উস্কানি দিল? কিন্তু মামলা দেওয়া হলো বিএনপি নেতাদের নামে। স্বভাবনিষ্ঠুর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করা যায় না। সরকারের নাশকতার মিশন আনসাকসেসফুল বলেই এখন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকাশ্যে হামলা করে রক্তাক্ত করার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়