নূর মাজিদ: সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বিশ্বের অন্যতম প্রধান অস্ত্র আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমা অস্ত্র ক্রয়ের পাশাপাশি তারা পুরোনো মিত্র রাশিয়ার কাছে থেকেও বিপুল পরিমাণ সামরিক অস্ত্র কিনছে। ভারতের দাবী, তাদের প্রতিরক্ষা চাহিদা পূরণে রাশিয়ার তৈরি এসব অস্ত্র দারুণ কার্যকর। তবে এই বিষয়ে স্বস্তিতে নেই দেশটির অপর মিত্র দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, ভারতের কাছে অব্যাহতভাবে বিপুল আর্থিক মুল্যের অস্ত্র রপ্তানি করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলতে সমর্থ হচ্ছে রাশিয়া, অভিযোগ ওয়াশিংটনের নীতিনির্ধারকদের। ইতোপূর্বে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় এবং ইরানি তেল আমদানি বন্ধে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে উদ্যোগী হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রেক্ষিতেই জুন মাসে ভারতের সঙ্গে ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তীতে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র আবারো বছরের সেপ্টেম্বরে এই বৈঠকের তারিখ ঘোষণা করে। তবে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের শঙ্কা পুনরায় ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের ওপর রুশ অস্ত্র ক্রয় বন্ধের চাপ সৃষ্টি করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
এর প্রেক্ষিতেই যুক্তরাষ্ট্রে একটি উচ্চ-পর্যায়ের টেকনিক্যাল কমিটি পাঠাবে ভারত। তাদের লক্ষ্য, ভারতের প্রতিরক্ষা চাহিদার কথা তুলে ধরে মার্কিন নীতি-নির্ধারকদের শঙ্কা যতটুকু সম্ভব দূর করা। ২+২ স্বরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে রুশ অস্ত্র ইস্যু নিয়ে আলোচনা চায়না ভারত। এই বিষয়ে জুন মাসেই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীথারমণ বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা ক্রয় নীতি সার্বভৌম এবং এই বিষয়ে কোন দেশের চাপের কাছেই মাথানত করবেনা ভারত।’
বস্তুত ভারত রাশিয়া থেকে দেড় দশকে একটি বিমানবাহী রণতরী, পারমাণবিক শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ এবং দেড় হাজারের বেশী টি-৯০ ট্যাংক কিনেছে। এর পাশাপাশি সাম্প্রতিক স্বাক্ষরিত ৪০ হাজার কোটি রুপির এস-৪০০ চুক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। ইতোপূর্বে, তারা ভারতের কাছে এস-৪০০ এর পরিবর্তে তাদের আধুনিক থাড মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মূল্যছাড় সহকারে কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলো। টাইমস অব ইন্ডিয়া
আপনার মতামত লিখুন :