রফিক আহমেদ : জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ক্ষমতা কারো জন্য কখনও চিরস্থায়ী নয়। রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ে পাগল হয়ে যাওয়ার কোন কারণ নেই। মঙ্গলবার প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার অন্যতম সদস্য প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ৮৭তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘কয়লা চুরি, ব্যাংক ডাকাতি, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি বন্ধ করে ভোটাধিকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনায় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, আমি কারো বিরুদ্ধে কিছু করতে চাই না। সুস্থ হোন দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য। কারণ দেশের সামনে উজ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। এটাকে ধবংস করতে দিবেন না। আমি এখন আবেদনের সুরে বলছি। কিন্তু জনগণ জেগে উঠলে তারা আবেদনের সুরে কথা বলবে না।
তিনি বলেন- ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশকে বাঁচাতে হবে, ঐকবদ্ধ হতে হবে। আমরা চাই বৃহত্তর ঐক্য। যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধী করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে তাদের বাদ দিয়ে সকল জনগণকে নিয়ে ঐক্য হবে। আমি জীবনের শেষ পর্যন্ত এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় থাকব। সর্বগ্রাসী দুর্নীতি হচ্ছে। ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে, কয়লা চুরি হচ্ছে। মাটি চুরিও হবে। কিন্তু এসব চুরির অপরাধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
তিনি বলেন, আমাদের ছেলেরা ন্যায্য প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছে। সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া তাদের মৌলিক অধিকার। লাখ লাখ জীবন দিয়ে এই অধিকার অর্জন করা হয়েছে। তরুণ সমাজের ওপর আক্রমণ এটা লজ্জার বিষয়। এই ছাত্ররা কোনো পকেট ভারী বা লুটপাট চাচ্ছে না। তারা বলছে সংস্কার করো।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র সমাজের ওপর লাঠি তোলা কত বড় অন্যায় তা তারা চিন্তাও করতে পারছে না। তিনি জানতে চান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রকে করা হাতুড়ী দিয়ে আহত করা হয়েছে। কিন্তু ওই ছাত্র কি অন্যায় করেছে যে তাকে হাতুড়ী দিয়ে পা ভেঙ্গে দিতে হবে? সে তো সংস্কার চেয়েছে, আর তো কিছু করেনি।
তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- ডা: জাফরউল্লাহ, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, আ.ব.ম মোস্তফা আমীন, গণ ফেরাম নেতা মোশতাক আহমেদ, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নাজিমুল ইসলাম প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :