রফিক আহমেদ : সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, দেশব্যাপী আলোচিত তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ফুটবল খেলার অফসাইড ট্রাপে ফেলে ফায়দা নিতে চেয়েছিল বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। এবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থীরা নিজেরাই পোলিং এজেন্ট না দিয়ে বা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গিয়ে তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে প্রচার করছে এবং দাবি করছে তাদের অনুপস্থিতে জালভোট দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাজাধানীর ৪ নং মিন্টু রোডস্থ সরকারি বাসভবনে ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নির্বাচনী আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মেনন এমপি।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, নব্বইয়ের দশকে বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় ল্যাটিন আমেরিকার দলগুলো প্রতিপক্ষের গোল ভন্ডুল করতে নিজেরা সবাই ডিফেন্স থেকে মাঝ মাঠে উঠে আসত, যাতে প্রতিপক্ষের ফরওয়ার্ড বা স্ট্রাইকাররা অফসাইড বিবেচিত হন। নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়নি তা অস্বীকার করব না। তারপরও সিলেটে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর বিজয় তাদের দাবীর ভিন্ন কথাই প্রমাণ করে। তাছাড়া বিএনপির আমলে ২০০১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচনের তুলনায় এই নির্বাচন অনেক স্বচ্ছ হয়েছে।

বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচন পরবর্তী মনোভাবের সমালোচনা করে মেনন বলেন- বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের আগেই হেরে বসে ছিল বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। তার প্রমাণ নির্বাচন প্রচার নিয়ম অনুসারে বাড়ীতে বাড়ীতে ভোটার স্লিপ ও লিফলেট না দেয়া; এমনকি প্রার্থী নিজেই নিজের ভোটার ক্রমিক নং জানতেন না বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে রাজশাহীতে বিএনপি মেয়র প্রার্থী রাগ করে কেন্দ্রের বাইরে খোলা মাঠে সময় কাটিয়েছে। যাদের নির্বাচনী অভিজ্ঞতা আছে তারা এ ধরণের কৌশল সম্বন্ধে ভালই জানেন। এর মধ্য দিয়ে তারা কেবল এই নির্বাচনই নয় জাতীয় নির্বাচনকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাতে চাচ্ছে এবং তারা যদি সেই নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্তও নেয় তাহলেও আশ্চার্য হওয়ার কিছু থাকবে না।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায় ও সদস্য তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।