রাশিদ রিয়াজ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শর্ত ছাড়াই ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠকের যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সে ব্যাপারে ৩ শর্ত দিয়েছে তেহরান। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির উপদেষ্টা হামিদ আবুতালেবি এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, আলোচনায় বসতে হলে আমেরিকাকে সবার আগে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে হবে। এছাড়া ইরানি জাতির অধিকারকে শ্রদ্ধা করা ও দেশটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতামূলক আচরণ পরিহারের কথাও বলেন তিনি। এ তিনটি শর্ত মেনে নিলেই কেবল ইরানের সঙ্গে আলোচনার পথ খুলতে পারে বলে রুহানির উপদেষ্টা অভিমত দেন।
সোমবার হোয়াইট হাউজে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যখনই ইরানিরা চাইবে তখনই হতে পারে। ট্রাম্প বলেন, তিনি ‘কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই’ ইরানিদের সঙ্গে ‘অবশ্যই সাক্ষাৎ’ করতে চান। এটা আমেরিকার জন্য ভালো, তাদের (ইরানের) জন্য ভালো, আমাদের জন্য ভালো এবং গোটা বিশ্বের জন্য ভালো। কোনো পূর্বশর্ত নেই। যদি তারা আলোচনায় বসতে চায় তাহলে আমি আলোচনায় বসব।’
এদিকে সোমবারই ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি তেহরানে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন এবং নীতির সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ও সংলাপে যাওয়া নিশ্চিতভাবেই সম্ভব নয়। কারণ মার্কিনীরা এরইমধ্যে প্রমাণ দিয়েছে যে তাদেরকে কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। ট্রাম্পের আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতামূলক পদক্ষেপ, ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে দেশটির বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এবং ইরানের জনগণের ওপর ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হয় দেশটির সঙ্গে আলোচনায় যাওয়ার কোনো পরিবেশ বা অর্থ নেই। এর আগেও কাসেমি ট্রাম্পকে লক্ষ করে বলেছিলেন, একতরফা আলোচনার কথা ভুলে যান।
এছাড়া ইরানের সরকার বা নীতি পরিবর্তনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমে যে খবর প্রচারিত হচ্ছে কাসেমি তাতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ধরনের খবরকে 'অপ্রাসঙ্গিক' হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আমেরিকার এ দুঃস্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মেহর নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :