লাকী আক্তার : নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান সংবাদ সম্মেলনে হাস্যকরভাবে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুকে উপহাস করার মতই একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা একটি অপমানজনক এবং ভয়ংকর ধরণের ব্যাখ্যা। একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একজন দায়িত্ববান ব্যক্তির কাছে এটি কখনো আশা করবার নয়। শিক্ষার্থীরা মারা গেছেন, সংবাদ সম্মেলনে এসে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি হাস্যকরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, যা খুবই নিন্দনীয় ব্যাপার। শাহজাহান খানের মত লোকেদের কারণেই চালকদরা এমন ধরণের কাজ করতে সাহস পাচ্ছে। এবং চালকরা সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। যারা বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালায়, তারা জানে তাদের কিছুই হবে না।
কারণ, তাদের পেছনে আছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী। গত কয়েকদির আগেই হানিফ পরিবহণে ঘটেছে এক ভয়ংকর পায়েল হত্যাকান্ড। আর কত লাশের বিনিময়ে এই অরাজকতা বন্ধ হবে? এটি জাতির কাছে আমাদের প্রশ্ন। রাস্তার এমন অনিয়ম থেকে উত্তরণের উপায় হচ্ছে, যারা এমন ধরণের কাজ করছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এবং পরিবহণ বিভাগের নীতি মালায় আরো পরিবর্তন আনতে হবে। পরিবহন খাতে টাউটÑবাটপার যারা আছে, তাদের খপ্পর থেকে পরিবহণ সেক্টরকে উদ্ধার করতে হবে। এসকল অনিয়মের জন্য আমরা পূর্বেও আন্দোলন করেছি, এখনো করছি, ভবিষ্যতেও করবো। শিক্ষার্থী হত্যায় আমরা আন্দোলন করছি এবং এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।
পরিচিতি : বাংলাদেশ কৃষক সমিতির নির্বাহী সদস্য /মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :