ডেস্ক রিপোর্ট : অবশেষে নানি ও নাতিকে একই সঙ্গে দাফন করার জন্য পাশাপাশি দুইটি কবর প্রস্তুত করা হয়েছে। রাত আটটা নাগাদ গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়িতে লাশ পৌঁছার কথা রয়েছে। সেখানে শেষ গোসল দিয়ে এশার নামাজের পর নাতির সঙ্গে তার জানাজা শেষে দাফন করা হবে। তবে বয়োবৃদ্ধ নানির মৃত্যুটি বার্ধক্যজনিত কারণে হলেও নাতির মৃত্যুটি ভিন্ন।
সকালে ক্লাস করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছিলেন কাজী আমিরুল ইসলাম সিরাত (২১)। এ সময় মায়ের ফোনে জানতে পারেন তার নানি আর বেঁচে নেই। আর এই খবর শুনার পর বিপর্যস্ত অবস্থায় বাড়ির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যান তিনি। তবে নানির মৃত্যুর খবর শোনার পর বন্ধুদের সাথে খবরটি শেয়ার করেই বাড়ির পথে এগুচ্ছিলেন সিরাত।
সে সময় কানে হেডফোন লাগিয়েই কথা হচ্ছিল তার। এ মন সময় সিরাত চট্টগ্রামমুখী এক ট্রেনের নিচে পড়েন তিনি। মুহুর্তের মধ্যেই দুই টুকরো হয়ে তার লাশ পড়ে থাকে রেললাইনের পাশে।
সোমবার সকাল আটটার দিকে কুমিরায় অবস্থিত চট্টগ্রাম আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে কুমিরা রেল লাইনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সিরাত চট্টগ্রাম আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের ২য় সেমিস্টারের ছাত্র।
চট্টগ্রাম আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশন অফিসার মোস্তাক খন্দকার জানান, কাজী আমিরুল ইসলাম সিরাতের গ্রামের বাড়ি পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে। তিনি ওই উপজেলার আবদুল গফুরের পুত্র।
সকালে মায়ের কাছ থেকে নানির মৃত্যুর খবর শুনে ক্যাম্পাস থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। কানে হেডফোন লাগানো অবস্থায় বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হতেই ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয় বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ট্রেন আসতে দেখে আশপাশের লোকজন তাকে সরে যেতে ডাকাডাকি করছিল। কিন্তু তিনি শুনতে পাননি।
সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এএসআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, সকালে লাশটি উদ্ধার করি। পরে স্বজনদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত না করেই দুপুরের দিকে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্র : পরিবর্তন
আপনার মতামত লিখুন :