আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৮ বছর আগে ব্যাংকের কর্মকর্তা স্বামীকে হারান অর্চনা কোলে। স্বামীর মৃত্যুর পর তার চাকরিটিই অর্চনাকে দিতে চায় ব্যাংক। কিন্তু নিজে চাকরি না করে বড় ছেলেকে সেই চাকরি দেন।
অল্প কিছু দিন না যেতেই অর্চনার ভাগ্যে নেমে আসে নির্যাতন। বড় ছেলে বেতনের কোনো টাকাই মা বা পরিবারকে দিতে রাজি নয়। তাই মা অর্চনা ছোট ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন। বর্তমানে তার বয়স ৭৬ বছর।
হাওড়ার সালকিয়ায় শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করে সোনারপুরে জমি কিনে বাড়ি করেন তিনি। ছোট ছেলে একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি নেন।
সোনারপুরে বাড়ি করার পর ধীরে ধীরে নিজের জমানো টাকায় বাড়িটি দোতলা করেন তিনি। কিন্তু তার সামনে যে আরও বড় দুর্ভাগ্য অপেক্ষা করছে তা বুঝতে পারেননি তিনি।
অর্চনা বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় ছোট ছেলে প্রসেনজিতের। সেই নারী বিবাহিত। তার ১৫ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাই আমি ছেলের বউ করতে রাজি হইনি। কিন্তু ২০১৬ সালে ছোট ছেলে ওই নারীকেই বিয়ে করে।
বৃদ্ধার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়। পুত্র ও পুত্রবধূর নির্যাতন শুরু হয়। ফলে আমি আশ্রমে চলে যাই।
ছয় মাস আগে আশ্রম থেকে বাড়ি ফিরলে তার ওপর চাপ দিতে শুরু করে ছেলে। বৃদ্ধা বলেন, ছেলে আমাকে চাপ দিতে শুরু করে আমার বাড়িটি পুত্রবধূ পম্পাকে লিখে দেয়ার জন্য। আমি সেটা কোনোভাবে লিখে দেব না স্পষ্ট বলে দিয়েছিলাম।
এরপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। তিনি বলেন, একদিন লাঠি দিয়ে মারতে আসে ছেলে। এমনকি, নিচের বাথরুম তালা দিয়ে রাখা শুরু করে, যাতে আমি ব্যাবহার করতে না পারি। তাতেও আমাকে সম্পত্তি লিখে দিতে বাধ্য করতে না পেরে একদিন জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে মেরে দেবে বলে শাসায়। যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :