আদম মালেক : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে রেমিটেন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বিশ্বের যে সব দেশে বাংলাদেশী প্রবাসী আছে সে সব দেশ থেকেই রেমিটেন্স আসছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা মোট ১৪ হাজার ৯৭৮.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে।
রেমিটেন্স প্রবাহের দিক থেকে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ওমান, কাতার, ইতালি ও বাহরাইন।
গেল অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। সে সময় এ দেশ থেকে ২,৫৯১.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। যা বাংলাদেশের মোট রেমিটেন্সের ১৭ শতাংশেরও বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিট্যান্স বাড়ার অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশে ব্যাংকের গৃহীত নানাবিধ উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়াকড়িতে কমেছে হুন্ডি ব্যবসা। হুন্ডি কমার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্যাংকিং চ্যানেলে। ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে ঝুঁকেছে অনেক প্রবাসী। এছাড়া বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪ হাজার ৯৭৮.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে এসেছিল ১২ হাজার ৭৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। রেমিটেন্স প্রবাহের দিক থেকে সৌদি আরবের পরেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২,৪২৮.০৬ মিলিয়ন ডলার এসেছে দেশটি থেকে।
এর পরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১,৯৯৭.৪৯ মিলিয়ন ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ঐ সময় কুয়েত থেকে ১,১৯৯.৭০ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে বাংলাদেশ।
একই সময়ে মালয়েশিয়া থেকে ১,১০৭.২১ মিলিয়ন, যুক্তরাজ্য থেকে ১,১০৫.৫৫ মিলিয়ন, ওমান থেকে ৯৫৮.১৯ মিলিয়ন, কাতার থেকে ৮৪৪.০৬ মিলিয়ন, ইতালি থেকে ৬৬২.২২ মিলিয়ন এবং বাহরাইন থেকে এসেছে ৫৪১.৬২ মিলিয়ন ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :