জাকির হোসেন, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও): ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মোছা. বিলকিস বেগম নামে এক বীরমুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে ৫লক্ষ টাকা যৌতুক ছাড়া ঘরে তুলছেন না তাঁর শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন। এই বিষয়ে গত শুক্রবার বিলকিস বেগমের পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে গত পীরগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিলকিস বেগমের বিয়ে হয় পীরগঞ্জ উপজেলার একান্নপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে করিমুল ইসলামের সাথে ১৩/১৪ বছর সংসার জীবনে একটি কন্যা সন্তান ও একটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহন করে। করিমুল মেয়ে লোভী হওয়াতে তাদের সংসারে অশান্তি লেগে থাকতো। ১নং আসামী করিমুল গভীর রাতে বাড়ীতে এসে আমার কন্যাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
আমার মেয়ে গভীর রাতে আসার কথা জিজ্ঞাসা করলে করিমুল আমার কন্যাকে হত্যার উদ্দ্যেশে মুখে বালিশ চাপা দেয় এবং ঘরে থাকা লোহার রড ও বাশেঁর লাঠি দিয়ে আমার কন্যাকে বেধম মারপিট করে। পরে অনান্য আসামীদের কুবুদ্ধিতে করিমুল ইসলাম আমার কন্যাকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে মারপিট করে বাড়ি থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দেয়।
এবং গোপনে একটি বিয়ে করার কারণে পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে উভয়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। অনুমানিক ২-৩ মাস পরে ১ নং আস্বামী করিমুল আমার কন্যার সহিত সুকৌশলে যোগাযোগ করে আমার কন্যাকে বিভিন্ন প্রলোভনে ফেলে আবার বিবাহ করে এবং বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার করিমুলকে বিবাহটি কাবিননামা হিসাবে রেজিষ্ট্রি করার কথা বলিলে সে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে।
এরই এক পর্যায় গত ২৬শে জুলাই,২০১৮ ইং তারিখে তার শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন যৌতুক হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে তার স্বামী মো. করিমুল ইসলাম(৩৮), মো. আব্দুর রহমান(৪০) উভয়ের পিতা মৃত আব্দুল লতিফ, মোছা. খতেজা বেওয়া(৫৮), জাবাতুন খাতুন, মোছা. রহিমা খাতুন, নেন্দ দায়সহ আসামীরা যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়ে বিলকিস বেগমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে তাকে বেধম মারপিট করিতে থাকে এবং আহত অবস্থায় তার বড় বোন মোছা. লাকি বেগমকে মুঠো ফোনে বিষয়টি অবগত করলে ও বিলকিস বেগমের চিৎকারে আমি, আমার বড় মেয়ে, আমার ছেলেসহ এলাকাবাসীরা দ্রুত ছুটে এসে লাকী বেগমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার তাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজুর রহমান জানান, আমাকেও তারা মারধর করে আমিও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। এ ব্যাপারে ৭নং ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান,মেয়েটি করিমুলের বাড়িতে ছিল আমাকে কেউ জানায় নি, করিমুল মেয়েটিকে তালাক দেওয়ার পর আবার বাড়িতে নিয়ে আসলেন এটি নিঃসন্দেহে খারাপ কাজ।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. বজলুর রশিদ জানান, এজাহারের কাগজ পেয়েছি তবে দুই পক্ষে মিমাংসা হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে।
আপনার মতামত লিখুন :