শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ০৮:৪৭ সকাল
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ০৮:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি’

রবিন আকরাম : বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাজাহান খানের হাসির ঘটনা অভাক করেছে দেশবাসিকে। তিনি মূলত ড্রাইভার হেলপারদের নেতা। নিজের পরিবার-আত্মীয়রা জাবালে নূরসহ অনেক পরিবহনের মালিক।

মালিক, শ্রমিকনেতা মন্ত্রীর কাছে সংবাদকর্মীরা জানতে চেয়েছিলেন ঘণ্টাখানেক আগের দুর্ঘটনার বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া। দুই জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুবিষয়ক প্রশ্নে মন্ত্রী হাসছিলেন। তার বিগলিত হাসি থামছিল না। বিদ্রোহী কবি যেমন লিখেছিলেন, ’আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি’-সেভাবেই হাসছিলেন মন্ত্রী।

মিম-রাজীবের মতো কত মানুষ, কত শিক্ষার্থী এভবে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে। পত্র-পত্রিকায় কয়জনের মৃত্যুর খবর আসে। যে কয়টা আসে তা শুনে যেন মন্ত্রীর মনে একটুও দয়া হয় না। উল্টো মন্ত্রীর কথা যেন বাচ্চাদের সাথে দুষ্টুমি করার মতো।

একবারও কি তিনি ভেবেছেন মিম বা রাজীবের বাবা-মা, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধুদের মানসিক অবস্থা কেমন? নিজ পরিবারের কারও এমন হয়নি তো তাই হয়তো ওতটা গায়ে লাগেনি মন্ত্রীর। ব্যাপারটা এমন, গরীবের গেলে কি যায় আসে, আমার তো যায়নি!

শিক্ষার্থীদের কি দোষ ছিলো ? তারাতো প্রতিদিনের মতো কলেজ ছুটির পর বিমানবন্দর সড়কে দলবেঁধে দাঁড়িয়ে ছিল, রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায়। তারা কি কখনো ভেবেছে এভাবে তাদের সহপাঠির মৃত্যু হবে। তাও আবার এতো ভয়ঙ্কর ভাবে! একটু চিন্তা করেন সহপাঠী বন্ধুদের কথা। এক মুহূর্ত আগে যে রাজীব-মিম তাদের সঙ্গে হাসিমুখে গল্প করছিল, তারা নেই...। ভাবতে পারছেন? রাজীব-মিমের বাবা-মায়ের মনের অবস্থা কেমন? আপনি কেন ভাববেন, আপনার তো হারায়নি। যার হারায় সে বুঝে কষ্টটা কেমন!

আর ড্রাইবারদের কথা কি বলবো.... অাপনি মন্ত্রী আছেন তাদের আর চিন্তা কি? সবকিছু মন্ত্রী সামলে নিবে এই ভাবনা নিয়েই বাস চালায় তারা। তার মধ্যে আপনার হাসি দেখে তো তারা আরো উৎসাহী হয়েছেন।

তার মধ্য মন্ত্রী মহোদয় ভারতের উদাহরণ দেন নিজের উপর থেকে দায় এড়াতে। শুনুন মন্ত্রী হাসিমুখে কী বলেন, ‘যে যতটা অপরাধ করবে, সে সেইভাবে শাস্তি পাবে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘শোনেন, কয়েকদিন আগে ভারতের মহারাষ্ট্রে একটা গাড়ি অ্যাকসিডেন্টে ৩৩ জন মারা গেল। এখন সেখানে কী আমরা যেভাবে এগুলোকে নিয়ে কথা বলি, এগুলো কি উনারা কথা বলেন?’

মন্ত্রী বুঝাতে চেয়েছেন ভারতে ৩৩ জন মারা গেলে কিছু হয় না, আর আমার দেশে দুজন মারা যাওয়া নিয়ে কেন এত কথা হবে? কেন সংবাদকর্মীরা এত প্রশ্ন করবেন?

মানুষ মরে গেলেও যেন মন্ত্রীর কিছু যায় আসে না, তার হাসি তো সেই কথাই বলে।

https://www.facebook.com/amiamar13/videos/1772543432835241/

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়