সজিব খান: বিমানবন্দর সড়কে দুই বাসের রেসারেসিতে শিক্ষার্থীদের উপর বাস উঠিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। অথচ নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাজান খানকে বিষয়টি জানালে তিনি অনেকটা চালকদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন- ‘ভারতের মহারাষ্ট্রে এক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন মারা গেছে, তা নিয়ে কোনও হইচই নেই। অথচ বাংলাদেশে সামান্য কোনও ঘটনা ঘটলেই হইচই শুরু হয়ে যায়।’
এ নিয়ে জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক অঞ্জন রায় তার ফেসবুকে লিখেছেন-
‘ধারাবাহিক অসহায়ত্ব ও ঘাতকদের রক্ষায় ক্ষমতাবানদের কারো সক্রিয় সহায়তা নাগরিকদের নৈরাজ্যবাদী করে তোলে-আজকের সড়কহত্যা পরবর্তী বাসে আগুন ও ভাংচুর সেটারই প্রমান। সহজ প্রশ্ন-তারেক মাসুদ মিশুক মুনিরের হত্যার পর কার মদতে শহীদমিনারে ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবিতে জুতো মারা হয়েছিলো? সরকারের প্রচন্ড আগ্রহ থাকার পরও কার ইশারায় সিটিং সার্ভিস প্রতারণা বন্ধ করা যায়নি? কারা ছিলো সেদিন রাজধানীজুড়ে গাড়ি বন্ধ করে দেয়ার পেছনে? কে হাতের তাস হিসাবে পরিবহন শ্রমিকদের ব্যবহার করে?
এর প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর যেমন আমি জানি, তেমনই জানেন প্রায় প্রতিজন সহনাগরিক। তারা আরো জানেন-বছরের পর বছর একের পর এক নাগরিক হত্যা হচ্ছেন সড়ক ও মহাসড়কে, কিন্তু নিহতের পরিবার বিচার পান না। এমনকি সড়ক হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তিও এখনো মামুলি। এসব কারণেই ক্ষোভ জমে-সেই ক্ষোভ বিষ্ফোরিত হয়। সাধারণ নাগরিকের গাড়ী পোড়ে আরেকদল সাধারণ নাগরিকদের ক্ষোভে। আর তখন এসব ঘটনার পর ভারত বা অন্য দেশের উদাহরণ দিয়ে বক্তব্য দেন পরিবহন সেক্টরের প্রধান নেতা একই সাথে মন্ত্রী এমন একজন। রেফারেন্স দেয়ার সময় তার কি মনে ছিলো-১৯৫৬ সালে ভারতের রেল মন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন রেল দুর্ঘটনার দায় নিয়ে। সেই রেফারেন্স কি পরিবহন নেতা হিসাবে তিনি দেখাবেন?’
আপনার মতামত লিখুন :