ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে এখন পর্যন্ত দুজন নিহতের খবর জানা গেছে। মৃত্যুপথে আরও দুজন। আহত ১৪ জনের জীবনে কী আছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ওই দুই বাসের চালক না বুঝলেও নিহতদের স্বজনরা টের পাচ্ছেন তারা কী হারিয়েছেন!
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল রেডিসনের বিপরীতে (এমইএস বাসস্ট্যান্ড) ফুটপাতে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এরা হলেন- উচ্চমাধ্যমিক প্রথমবর্ষের ছাত্রী দিয়া আখতার মিম (১৭) এবং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল করিম (১৮)।
দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির পেশায় গাড়িচালক। পরিবর্তন ডটকমকে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের স্বপ্ন ছিল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল।’
তিনি বলেন, ‘আমি ওকে কলেজ যাওয়ার জন্য প্রতিদিন মহাখালী থেকে বাসে উঠিয়ে দিতাম। মাঝেমধ্যে কলেজ থেকে আনতেও যেতাম। আজও আমিই সকালে ওকে বিআরটিসি বাসে তুলে দেই। মনের মধ্যে কেমন যেন করছিল। তাই আমি ওকে ফোন জিজ্ঞেস করেছিলাম- মা, নিতে আসবো? কিন্তু ও বললো- না, বাবা আমি একাই আসতে পারবো।’
জাহাঙ্গীর ফকির বলেন, ‘গাড়ি নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাওয়ার কথা ছিল বলে আমিও আর আনতে গেলাম না। কেন যে গেলাম না? গেলে হয়তো আজকে আমার মেয়েটা জীবিত থাকতো, আমার পাশে থাকতো।’
তিনি বলেন, ‘আমি একজন গাড়িচালক, একই সঙ্গে বাবাও। এভাবে যারা গাড়ি চালায় তাদর ফাঁসি হওয়া উচিত। যেসব মালিকরা এসব গাড়িচালক নিয়োগ দিয়েছে, সরকারের উচিত তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা।’
নিহত দিয়ার বাবা বলেন, ‘যারা ঢাকায় গাড়ি চালায়, তারা অদক্ষ। এরা আগে সিএনজি অটোরিকশা চালাতো। গাড়ির মালিকরা লাইসেন্স ছাড়াই এদের চালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।’
জাহাঙ্গীর ফকিরের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে দিয়া দ্বিতীয়। তারা সপরিবারে মহাখালী দক্ষিণ পাড়ায় থাকেন। পরিবর্তন।
আপনার মতামত লিখুন :