শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ০৩:৫৩ রাত
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ০৩:৫৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘১৫ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায়’

আহমেদ জাফর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।রোববার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এর সাক্ষ্যরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশে^র ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুসহ, ঘাতকদের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারান সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব,শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামালকে।
পৃথিবীর এই নৃশংসতম হত্যাকান্ডে থেকে বাঁচতে পারেননি শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও নাতি সুকান্ত সেরনিয়াবাত বাবু, ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিল। দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঘাতকেরা শুধু এদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাই করেনি, হত্যা করেছিল বাঙালি জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অগ্রযাত্রা, সমৃদ্ধি ও সুন্দর আগামীর স্বপ্নকে। একটি সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শত বছরের একটি পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতা দিয়ে বিশ্বের দরবারে বাঙালিদের বীরের জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে মাত্র তিন বছর সাত মাসে।
খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের অন্যতম সহযোগী জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর জাতি হিসেবে আমরা বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অনেকেই এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থেকেতে সহযোগিতা করছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সরকার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। হত্যাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে সক্ষম হলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে কখনো হত্যা করতে পারেনি। হত্যা করতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নকে। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের যে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন তারই কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারি‌্যদ্রমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ তারই কনা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে নানা প্রতিকুলতার মুখোমুখি হয়েও ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করেছেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর আদর্শ, চেতনা আর রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে ভাসছে। সারা বিশে^ বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘‘মুজিববর্ষ” হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করবে। সেই স্বপ্নময় ভবিষ্যতের বিনির্মাণের জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের জন্য দেশবাসী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার সকল সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সং¯’াসমূহের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। একইসাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সমস্ত শাখার নেতৃবৃন্দকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে দিবসটিকে স্মরণ ও পালন করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়