সাইদুর রহমান : সমাজে নুপুর ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। অথচ হাদীসে নুপুরের ব্যবহার সর্ম্পকে কঠিন হুশিয়ারি এসেছে। আলী ইবনু সাহল ইবনু যুবায়র (রহ.) বলেন, একবার তাদের এক মুক্তদাসী যুবায়র (রা.)-এর কন্যাকে নিয়ে উমার ইবনুল খাত্তাব (রা.)-এর নিকট এলো। তার (কন্যার) পায়ে নুপুর ছিলো। উমার (রা.) তা কেটে ফেলে দিয়ে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, প্রতিটি ঘণ্টা ধ্বনির সাথে একটি শয়তান থাকে। আবু দাউদ, হাদীস নং ৪২৩০
অন্য এক হাদীসে এসেছে, আব্দুর রাহমান ইবনু হাইয়ান আল-আনসারী (রাঃ) এর মুক্তদাসী বুনানাহ আয়িশাহ (রা.) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, একদা তিনি আয়িশাহ (রা.)-এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। তখন একটি ছোট্ট বালিকাকে নিয়ে আসা হলো। বালিকার পায়ে নুপুরের আওয়াজ শুনে তিনি বলেন, এর পা থেকে নুপুর না খুলে তাকে আমার কাছে আনবে না। তিনি আরো বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ঘরে ঘণ্টা থাকে সে ঘরে ফিরিশতা প্রবেশ করে না। আবু দাউদ, হাদীস নং ৪২৩১,আহমাদ।
আপনার মতামত লিখুন :