স্বপ্না চক্রবর্তী : ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় সব উন্নত দেশের কাছেই বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন রোল মডেল হিসেবে মন্তব্য করেছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় সব কয়টি দেশই তাদের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশকে অনুকরণ করছে।
রোববার রাজধানীর কাওরানবাজারে বিজিএমইএ ভবনে আমাদের অর্থনীতির সাথে একান্ত স্বাক্ষাৎকারে মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ৭১টি গ্রীন ফ্যাক্টরি তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। যা বিশ্বের মধ্যে অন্যন্য উদাহরণ। শুধু তাই নয় আরও ৩২০টি কারখানা গ্রীণ ফ্যাক্টরির সনদের জন্য অপেক্ষা। তিনি বলেন, পৃথিবীর ১০টা লীড ফ্যাক্টরির ৭টাই আমাদের রয়েছে। তাই বাংলাদেশের রপ্তানী আয়ের শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে পোশাক শিল্প।
চলমান বাজারের সাথে নতুন বাজারেও বাংলাদেশের পোশাক সগর্বে অবস্থান করে নিয়েছে বলে মন্তব্য করে গার্মেন্টস মালিকদের এই নেতা বলেন, ২০১০সালে যেখানে নতুন বাজারগুলোতে রপ্তানীর পরিমাণ শূণ্যের কোটায় ছিলো সেখানে বর্তমানে মোট রপ্তানীর ১৫শতাংশ নতুন বাজারগুলোতে হচ্ছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, রপ্তানীর ক্ষেত্রে সরকারের সব ধরণের সহযোগীত অব্যাহত থাকার কারণেই আমরা রপ্তানীর আয়ের শীর্ষে অবস্থান করতে পারছি।
তবে গার্মেন্টস শিল্পের মূল ভিত যারা পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরির সিদ্ধান্ত কি হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করে এই নেতা বলেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি বোর্ড গঠিত হয়েছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত মতোই শ্রমিকের নূন্যতম মজুরি কত হতে পারে সে ব্যাপারটি চূড়ান্ত করা হবে।
এদিকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের তদারকিতে নিয়োজিত এ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের ভূমিকায় নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদের তদারকিতে সক্ষম। দেশে এ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের আর কোনো প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :