শিরোনাম
◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আ.লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ফসফরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ১২:৫২ দুপুর
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ১২:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘মাওলানা সাদ ইসলামের শত্রু, টাকার পূজারি’

আহমেদ ইসমাম: মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে ইসলামের শত্রু, টাকার পূজারি ও ইহুদিদের দালাল বলে মন্তব্য করেছেন কাকরাইলের বিদেশি মেহমানদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মোসারফ হোসেন। যারা সাদ সাহেবের কথা মত চলে তারাও ইসলামের শত্রু।

রোববার কাকরাইল মসজিদে আলেমদের সম্মেলন তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাদ সাহেবের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তিনি যদি এত ভাল হন তবে কেন চিকিৎসার জন্য জর্ডানে যান। ভারতে কি খারাপ চিকিৎসা হয়? তার সাথে ইহুদিদের একটা ভাল সম্পর্ক আছে, সে ইহুদিদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে এমনটা করছে। গত কয়েকদিন আগে শাহ আহমেদ সুফী সাহেবের ঢাকার মুহাম্মদপুরে একটি মাঠে আলেমদের নিয়ে সম্মেলন থেকে সাদ সাহেবকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং তার কথা যাতে কেউ না শুনে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন। কাকরাইলের সাধারণ মুসুল্লিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাওলানা সাদ সাহেব অনেক ছোট থেকে তাবলিগ জামাতের সাথে জরিত তার দাদা ছিলেন মাওলানা ইলিয়াছ শাহ (রহ.) যার হাত ধরে ভারত উপমহাদেশে তাবলিগ জামাতের সূচনা হয়। কিন্তু অপর দিকে শাহ আহমেদ শফী খুব একটা তাবলীগ জামাতের সাথে জরিত না। এখন যে সমস্যাটা চলছে এটার সাথে তাবলীগ জামাতের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই। কারণ সাদ সাহেবের সাথে যে সমস্যা শুরু হয়েছে তা নিয়ে একমাত্র আলেমরাই কথা বলতে পারবে এটা নিয়ে সাধারণ মুসলিমদের বলার কিছু নাই।

তারা আরও বলেন, গত কয়েকদিন আগে আলেমদের নিয়ে যে সম্মেলন হয়েছে তার সাথে কাকরাইলের কোনো সম্পর্ক নাই। এটা যদি কাকরাইল কেন্দ্রীক কিছু হত তবে এটা কাকরাইল মসজিদেই হত। সাদ সাহেবকে নিয়ে যে সমস্যার উৎপত্তি ভারতে। তিনি মূসা নবী নিয়ে বিতর্কীত মন্তব্য করেছিলেন। তার জের ধরে বাংলাদেরে আলেমরা এর প্রতিবাদ করেন এবং এর জন্য ক্ষমা চইেতে বলেন। এখন পর্যন্ত সাদ সাহেব ক্ষমা না চাওয়ায় বাংলাদেশের আলেমদের পক্ষ্য থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। সাদ সাহেবের পক্ষে এখনো অবস্থান করছে, মাওলানা মোজাম্মল হক, সৈয়দ ওয়সিকুর ইসলাম, সাহাবুদ্দিন নাসিম, মাওলানা মোসারফ হোসেন। এখানকার একজন গুরুতর অসুস্থ ও বাকিরা হজ্বে থাকায় তাদের সাথে কথা বলা যায়নি।

তাবলীগ জামাতের একটি সূত্র জানিয়েছে, সামনে নির্বাচনকে ঘিরে হেফাজত তাদের শক্তি দেখাতে চাইছে। তাই তারা আলেমদের নিয়ে এমন সম্মেলন করছে। তারা যে তাবলীগ জামাতের কেই না তার রড় প্রমাণ তারা সম্মেলনটা করেছে কাকরাইল মসজিদের বাইরে। তাদের সম্মেলন থেকে কাকরাইল থেকে কেউ যায়নি। তারা যা করেছে নিজেরাই করেছে। সাদ সাহেব যদি ইসলামের শত্রু হত তবে তাকে নিয়ে দিল্লী এবং লাহরেও প্রতিবাদ হত। কই ? তারা তো কিছু বলছে না। এখন যা হচ্ছে তা তাবলীগ জামাতকে দুই ভাগ করার একটা অপচেষ্টা হচ্ছে। এ ছাড়া আর কিছু না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়