দেবব্রত দত্ত: কালক্ষেপণ বন্ধ করে অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরী ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায় করতে বাধ্য হবে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এব্যাপারে সরকার ও মালিক পক্ষকে সতর্ক হতে হবে।
রোববার (২৯ জুলাই) গার্মেন্টস শ্রমিক শিল্প রক্ষা জাতীয় মঞ্চের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সমাবেশে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এই দাবি করেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, মঞ্চের সমন্বয়কারী বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইন্ড্রস্টিয়াল এর বাংলাদেশ চাপতারের সদস্য সচিব শ্রমিক নেতা সালাউদ্দিন স্বপন, গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এড. মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মাহতাব উদ্দিন শহীদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, মঞ্চের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম সুজন, আলমগীর রনি, সুলতানা বেগম, ইতি আক্তার, তপন সাহা, হারুন-অর-রশিদ, শহিদুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরী বোর্ডে মালিক পক্ষের প্রস্তাব শ্রমিকরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। একইসাথে শ্রমিক নামধারী প্রতিনিধির প্রস্তাবে শ্রমিকরা হতাশ হয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবি ১৬,০০০/- (ষোল হাজার) টাকা, যা আজকে জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। মজুরী বোর্ড গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী নির্ধারণের ক্ষেত্রে তালবাহানা শুরু করেছে। এতে করে শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই ক্ষোভ যে কোন মুহুর্তে বিক্ষোবের রূপ নিতে পারেন, যা বর্তমানে শিল্পের স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করে তুলবে। এ ব্যাপারে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :