শাহানুজ্জামান টিটু : আগামীকালের তিন সিটি নির্বাচন দেখার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে খাতে প্রবাহিত হবে, সেটিকে বাধা দেয়ার ক্ষমতা সরকারের থাকবে না বলে সর্তক করে দিয়েছে বিএনপি।
দলটি বলছে, জনগণ আর হাত গুটিয়ে চুপ করে বসে থাকবে না। সাইরেন বাজতে থাকবে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত। মানুষের ক্ষোভের উত্তাল প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনকেও জবাবদিহি করতেই হবে। আওয়ামী লীগের ভোটারশুন্য একতরফা নির্বাচনের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।
বাংলাদেশের নির্বাচন এখন সরকারী সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত। সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে ফেলাটাই যেন এখন আওয়ামী লীগের প্রধান এজেন্ডা।
রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।
বরিশাল, রাহশাহী ও সিলেট এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, গাজীপুর ও খুলনায় নতুন মডেলের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন কথা দিয়েছিল আগামী নির্বাচনগুলো অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবে। কিন্তু তিন সিটি নির্বাচনে প্রচারণা শুরু হলে কমিশনের পুরনো চেহারা আবারও ফুটে উঠতে শুরু করে। তারা রাখঢাক না করে মুখোশের শেষ সুতোটুকুও খুলে ফেলেছে।
রিজভী অভিযোগ করেন যেভাবে খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ,নির্বাচনী এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি, ধানের শীষের নির্বাচনী এজেন্টদের এলাকাছাড়া করা, এলাকায় প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর রুপ দেখা যাচ্ছে তিন সিটি এলাকায়। নির্বাচন কমিশন ভোটারদের ভয়ভীতি দুর করে আশঙ্কামুক্ত ভোটের পরিবেশ তৈরী করতে সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করেছেন শেখ হাসিনা। সুতরাং বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন এখন স্বপ্নালোকে বিরাজ করছে। নিজেদের স্বাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ না করে সরকারী হুকুমের ভয়ে অসহায় নীরব-নিশ্চল পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। সেজন্য একের পর এক নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদেরই তল্পী বহন করছে নির্বাচন কমিশন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যদিও তিন সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন আলামত এখনও পর্যন্ত নেই, তবুও ভোটারদের নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে থাকবে ধানের শীষের প্রার্থী। শাসকদল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে নির্বাচন নিয়ে যে অবিমৃশ্যকারিতা করছে তার জবাব তো নির্বাচন কমিশনকেই দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :