সোহেল রহমান : পরিশোধিত ও অ-পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন’ (বিপিসি)। সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশন’ (আইটিএফসি) থেকে এ ঋণ নিয়েছে সংস্থাটি।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, টানা চার বছর ধরে ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন’ (বিপিসি) মুনাফা করলেও সাম্প্রতিক সময়ে সংস্থাটির দেনার পরিমাণ বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে বিপিসি’র দেনার পরিমাণ ৮৫৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা বেড়েছে। গত জানুয়ারি শেষে সংস্থাটির মোট বকেয়া ব্যাংক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৫১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
বর্তমানে বিপিসি’র বকেয়া ব্যাংক ঋণের পরিমাণ সংস্থাটির মুনাফার চেয়েও বেশি। সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিপিসি’র নিজস্ব সংশোধিত বাজেটে সংস্থার নীট মুনাফার পরিমাণ ৩ হাজার ২২১ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। এর বিপরীতে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিপিসি’র নীট লোকসান ১ হাজার ১১০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: বিপিসি লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংস্থাটি ৯ হাজার ৪০ কোটি টাকা নীট মুনাফা অর্জন করে। কিন্তু পরবর্তী অর্থবছর থেকে বিপিসি’র নীট মুনাফা আবার কমতে থাকে। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সংস্থার নীট মুনাফা কমে দাঁড়ায় ৭ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) বিপিসি’র নীট মুনাফা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
বর্তমানে বিপিসি’র আওতাধীন ৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑ ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্ট ব্লেন্ডার্স লিমিটেড ও এলপি গ্যাস লিমিটেড। পরিশোধিত ও অ-পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিশোধন ও বাজারজাত করে বিপিসি। এছাড়া সিলেটের হরিপুর তেলক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত তেল এবং বিভিন্ন গ্যাসফিল্ড থেকে প্রাপ্ত কনডেন্সড গ্যাসও পরিশোধন করে থাকে সংস্থাটি।
আপনার মতামত লিখুন :