মো.সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পুরণে ঠাকুরগাঁওয়ে পোল্ট্রি শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে টার্কি নামে তৃণভোজী বন্য পাখি। তিনবন্ধু মিলে গড়ে তুলেছে এ খামার। দুরদুরান্ত থেকে অনেক বেকার যুবকরা আসছেন টার্কির খামার দেখতে। খামারীরা বলছেন, বেকারদের সহজশর্তে ব্যাংক ঋণ দিলে টার্কি খামার করে লাভবান হবে অনেকে। আর প্রাণীসম্পদ বিভাগও টার্কি খামার গড়ে তুলতে বেকারদের উদ্বুদ্ধ করার করার পাশাপাশি কারিগরি সহযোগীতারও আশ্বাস দেয়।
পোল্ট্রি খাতে ক্রমাগত লোকসানের মুখে যখন ঠাকুরগাঁওয়ের শতাধিক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। ঠিক তখন সেই সময়ে কয়েকজন যুবক পোল্ট্রি শিল্পে নতুন মাত্রায় যোগ করেছে টার্কি নামে এক বড় আকারের গৃহপালিত এই পাখি। টার্কির উৎপত্তিস্থল উত্তর আমেরিকায় হলেও ইউরোপসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশে এ পাখি পালন করা হচ্ছে।বিভিন্ন দেশের খাদ্যতালিকায় অন্যতম পুষ্টিকর উপাদান এ পাখির মাংস। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে ওঠার ছয় মাসের মধ্যে টার্কি ডিম দেয়। ছয় মাসের টার্কির ওজন হয় পাঁচ থেকে ছয় কেজি। আর পুরুষ টার্কি হয় প্রায় আট-নয় কেজি। আমেরিকায় অভিজাত শ্রেনীর খাদ্য তালিকায় বিশেষ স্থান করে নিয়েছে টার্কির মাংস। আমাদের দেশে মুরগির মাংসের মতো করেই টার্কি রান্না করার পাশাপাশি রোস্ট ও কাবাবও তৈরি করা হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের তরুন উদ্যোক্তা মিন্টু, স্ব-রাজ, ফারুকসহ কয়েকজন খামারি ৯’মাস ধরে বাণিজ্যিকভাবে টার্কি উৎপাদন করছে। তারা সদর উপজেলা সালন্দর তেলিপাড়া ও শহরের ঘোষপাড়ায় এই টার্কির খামার গড়ে তুলেছে। ভারত থেকে আনা এ দুটি খামারে ছোটবড় ৩শ টার্কি রয়েছে।
উদ্যোক্তা নাদিম ও স্বরাজ এই দুই বন্ধু বলছেন, বাংলাদেশে কয়েকটি বাণিজ্যিকভাবে টার্কি খামার গড়ে উঠছে। আর এটি এ জেলার এটি প্রথম বাণিজ্যিক খামার। এ খামার দেখতে দুরদুরান্ত থেকে অনেকেই আসছেন। টার্কি খামার করতে উদ্বুদ্ধও হচ্ছেন কেউ কেউ। দেশে এজাতের পাখি ও মাংসের চাহিদা থাকায় তেমন সরবরাহও করতে পারছেনা এ খামার দুটি। তবে এটি বৃহৎ আকারে করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, রফিকুল ইসলাম বলছে, পাখিজাতীয় মাংস উৎসের মধ্যে মুরগি, হাঁস, তিতির, কোয়েলেরপর টার্কি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। টার্কির মাংস অন্যান্য পাখির মাংস থেকে কম চর্বিযুক্ত, তাই অন্যান্য পাখির চেয়ে টার্কির মাংস অধিক পুষ্টিকর। এ খামারের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। বেকারদের উদ্বুদ্ধ করার করার পাশাপাশি কারিগরি সহযোগীতারও আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা ।
টার্কি খামার করে বেকারা গুচাবে বেকারত্ব। এজন্য সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের পাশাপাশি কারিগরি সহায়তা দেবে সংশ্লিষ্টরা এমন প্রত্যাশা সবার।
আপনার মতামত লিখুন :