আশিক রহমান : এখন হাই টাইম কথাবার্তা বা সংলাপ করার। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের টেলিফোন সংলাপের প্রস্তাবে বিএনপির অবশ্যই সাড়া দেওয়া উচিত বলেন মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, টেলিফোন সংলাপও তো সংলাপই। ওবায়দুল কাদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তিনি। রাজনৈতিক সংকট নিরসনে শুরুটা তিনি ভালো করেছেন। ভালো প্রচেষ্টা দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ তাকে যে, একটা আগল ভাঙার উদ্যোগ তিনি নিলেন। আমার মনে হয় খুব দ্রুততার সঙ্গে বিএনপির তাতে সাড়া দেওয়া উচিত। এই সংলাপ আহ্বান রাজনীতিতে একটা শুভ সূচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের যেহেতু বলেছেন টেলিফোন সংলাপ হতে পারে, তিনি তো একধাপ এগিয়ে এসেছেন। এখন টেলিফোনটি বিএনপির কেউ করতে পারেন, কোনো অসুবিধা তো নেই। বিএনপি যদি বসে থাকে ওবায়দুল কাদের টেলিফোন পাওয়ার আশায় কীভাবে হবে? আমার মনে হয়, বিএনপিকে এগিয়ে এসে এখন তাকে টেলিফোন করা উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, রাজনীতির মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া পরিষ্কার হতে শুরু করল কি না তা নির্ভর করছে বিএনপি কীভাবে রিঅ্যাক্ট করে। তারা কী কথা বলেন, কোনদিকে বলেন। পুডিংয়ের টেস্ট খেলে বোঝা যায়। তবে এটা শুভ সূচনা করেছেন ওবায়দুল কাদের। তার এই টেলিফোন সংলাপ প্রস্তাব নেতিবাচকভাবে দেখি।
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে অনেকবার অনেক অফার দিয়েছিল বিএনপিকে, বিশ্লেষণ করতে চেয়েছিল পরিস্থিতি ও সংকটের। সংকট নিরসনে টেলিফোনও করেছিলেন বঙ্গবন্ধকন্যা স্বয়ং নিজে। কিন্তু ফিডব্যাক ভালো ছিল না। ভালো উত্তর পাননি শেখ হাসিনা। এখনো সেরকম ব্যবহার করলে তো অসুবিধা। তবে আমার মনে হয়, এখন হাই টাইম কথাবার্তা বা সংলাপ করার। সেটা করা উচিত বলেই মনে করি আমি।
আপনার মতামত লিখুন :