কান্তা আইচ রায় : প্রায় একযুগ আগে দেশব্যাপী নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও এসএমই উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় এসএমই ফাউন্ডেশন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আর স্বল্প পরিমাণ ঋণ দেয়া ছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান পরিকল্পনা থাকলেও যথেষ্ট তহবিল না থাকায় কাজের পরিধি বাড়ানো যাচ্ছে না। তাই আর্থিক ভাবে সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি নীতি সহায়তার দাবি সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির।
২০০৭ সালে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য এবং জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় এসএমই ফাইন্ডেশন। প্রতিষ্ঠার সময় মাত্র ২০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দেয়া হয় এসএমই ফাউন্ডেশনকে। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যাংকে জমা রেখে তার মুনাফা থেকে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এর পর ১১ বছর কেটে গেছে । বেড়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিধি, কাজের আওতা বাড়লেও কমেছে সক্ষমতা। প্রতিষ্ঠানটির পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় উদ্যোক্তাদের চাহিদামত ঋণ সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কে এম হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ২০০ কোটি টাকা দিয়েই এখনো চলছি। কিন্তু আমাদের কর্মকান্ডের পরিধি ৩শ গুন বেড়ে গেছে। এখন আমাকে মূলধনেও হাত দিতে হচ্ছে। ২ বছর আগে সারা বছরে ১ টা মেলা হতো। এই বছরেই আমি ১৬টি মেলা করেছি। ৩০০ শতাংশ প্রশিক্ষণ কর্মসূচী বাড়ানো হয়েছে। কাজেই এই টাকা খুব কম আমাদের জন্যে।'
দেশের আর্থ সামজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প পুঁজি নির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ও সুষ্ঠু শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশে ফাউন্ডেশনকে আরও গতিশীল করতে আর্থিক ভাবে শক্তিশালী করার দাবি উদ্যোক্তাদের।
এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক মানতাশা আহমেদ বলেন, ‘একটা গবেষণার খুবই দরকার। কোন কোন সেক্টরকে আমরা চিহ্নিত করে এসএমইতে নিয়ে আসবো। মার্কেট অনেক চাহিদা আছে তারপরেও এসএমইতে প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। লোন যেনো অনেক সহজে দেয়া যায় সেটা আমাদের দেখতে হবে।'
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে ঋণ দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। সূত্র : সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :