আশিক রহমান : ধীরে ধীরে হলেও রাজনৈতিক সংকটের গিট খুলতে শুরু করেছে বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, কেউ টেলিফোন করলে তা আমি ধরব না? ধরব। টেলিফোন সংলাপের প্রস্তাব খুব ভালো। ধীরে ধীরে হলেও গিট খুলতে শুরু করেছে, সেটা অবশ্যই ভালো। আলাপ-আলোচনা তো হওয়াই উচিত। শুভ লক্ষণ, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। কিন্তু তিন সিটি নির্বাচনে যা করছে, যেভাবে পুলিশি রাজত্ব কায়েম করছে, তাতে তো গণতন্ত্রের কোনো আশা করা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের যদি বিএনপিকে ফোন করে তারা অবশ্যই কথা বলবে। আমি নিশ্চিত যেকোনো রাজনৈতিক দল এমন অবস্থায় মুখ গোমড়া করে বসে থাকবে না। তবে হ্যাঁ, মূল পদক্ষেপটা ওবায়দুল কাদেরকেই নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে আমি বারবার ফোন করতে পারি, কিন্তু আমার ফোনের তো কোনো দাম হবে না। তাই বলছি, ফোনটা ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে গেলেই ভালো। তারা তো ক্ষমতায় আছেন, ফোন করলে ছোট হবেন না।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ফোন না ধরার শঙ্কায় ফোন নাও করতে পারে বিএনপি। তাই ফোনটা আওয়ামী লীগেরই করা উচিত। এবং ওবায়দুল কাদেরের এই মুভটাও ভালো। তিনি তো ইতোমধ্যে সিপিবি অফিসেও গেছেন। তিনি যে কাউকে ডাকতে পারেন, কথা বলতে পারেন। সরকারি দলকেই এই উদ্যোগটা নেওয়া উচিত। এ উদ্যোগের অভিনন্দন জানাই আমি।
তিনি বলেন, পুরোনো কাসুন্দি ঘেটে লাভ নেই। এখন যদি আমি উল্টোভাবে দেখি, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার চালাকি বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু কোকোর মৃত্যুতে হাসিনা যখন খালেদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, দেখা না করে খালেদা জিয়া অবশ্যই ভুল করেছিলেন। তাতে তো হাসিনা ছোট হননি, বরং তার সুনামই হয়েছিল। শেখ হাসিনা কেনইবা আবারও চেষ্টা করবেন না।
আপনার মতামত লিখুন :