নাবিল মাহমুদ : কোটা সংস্কার নিয়ে আর কত কথা বলব। কথা বলার ভাষা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। প্রধানমন্ত্রী বুঝি এটাই চেয়েছিলেন যে, আমরা কথা বলতে না পারি। তা না হলে কোটা সংস্কারের শান্তিপুর্ন আন্দোলনকে কেন তিনি উপেক্ষা করলেন। এবং ছাত্রলীগ আমাদের বড় ভাইদের উপর হামলা করলো অথচ তাদের কোন বিচার হলো না কেন? প্রধানমন্ত্রী চাইলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুখ বন্ধ করতে পারতেন। কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটাতে পারতেন। তবে সেটা এভাবে হামলা মামলার মাধ্যমে নয়। প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছিলেন কোটা বাতিল হবে। আমরা তো বাতিল চাই নি। তখনই তিনি কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে আন্দোলনকারীদের মুখ বন্ধ করে দিতে পারতেন। আন্দোলনাকরীরা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রেখে আন্দোলন বন্ধ করেছিল।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়ে কথা রাখলেন না। উনার প্রতি সাধারণ ছাত্রদের ¯্রদ্ধাবোধ আর আবেগকে তিনি মুল্যায়ন করলেন না। বরং হামলাকারী ছাত্রলীগের বিচারও তিনি করলেন না। সাধারণ ছাত্ররা কিন্তু মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে ও শ্লোগান দিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। এর পরেও এই আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। একটা গোষ্ঠি এই আন্দোলনে বিতর্কিত করার জন্য এবং জামায়াত শিবির আখ্যা দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েছে। তারা ক্রমাগত এই আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যদি সাধারন ছাত্ররা সব ঐক্যবদ্ধ থাকে তবে আমার বিশ্বাস এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে শত ষড়যন্ত্র করেও আন্দোলনকে থামানো যাবে না।
পরিচিতি : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : মুহাম্মদ নাঈম
আপনার মতামত লিখুন :