জাহিদ হোসেন : আমার এইচএসসি পরীক্ষার্থী স্টুডেন্ট ছিল ৩ জন। এদের মধ্যে ২ জন ছেলে, ১ জন মেয়ে। দুই ছাত্রই সাফল্যের সাথে জিপিএ-৫ পেয়েছে, কিন্তু ছাত্রীর জিপিএ-৫ পাওয়া হয়নি। আমি গেলাম ছাত্রীর বাসায়। ছাত্রীর বাসার পরিস্থিতি ভয়াবহ। তার মা কাঁদতে কাঁদতে শয্যাশায়ী। আমি বেশ কিছুক্ষণ বুঝালাম, বিরাট বিরাট লেকচার ছাড়লাম। এই জিপিএ-৫ এর কোনও মূল্য নেই। কেন মুল্য নেই তার ১০১টি কারন ব্যাখ্যা করলাম। হঠাৎ ছাত্রীর মা বলে উঠল, “বাবা, আমার মেয়েকে আমি তোমার হাতে তুলে দিলাম”। আজ থেকে ওর সব দায়-দায়িত্ব তোমার।” অবস্থা বেগতিক। এটা কি বাংলা সিনেমা নাকি? এই বয়সে বিয়ে-শাদী!
আমি আড়চোখে দরজার দিকে তাকালাম। দরজা থেকে আমার দূরত্ব মোটামুটি ১০ ফিটের মত হবে। আমি যদি ৫ মিটার/সেকেন্ড বেগে দৌড় দিই, তাহলে দরজা অতিক্রম করতে কত সেকেন্ড লাগবে? শিট! ফিজিক্সের সূত্র মনে পড়ছে না। আমাকে রক্ষা করলো আমার ছাত্রী। ছলছল চোখে বলে উঠল, “ভাইয়া, আমাকে ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স পেতেই হবে। “আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। ছাত্রীর মা আবার বলে, “আচ্ছা, বলো তো ও কি পারবে? “আমার ইচ্ছা হলো একবার বলি, “আমি কি জ্যোতিষী নাকি? আমি চেহারা দেখে কিভাবে ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারি? কী অদ্ভুত! “আজকালকার গার্ডিয়ানদের কথাবার্তা-শব্দচয়নের উপর একটা কোর্স করানো উচিত। কেউ এটা স্লোগান দিবেন না, ঠেলাঠেলি করবেন না ।
পরিচিতি: শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ/ মতামত গ্রহণ: মাহবুবুল ইসলাম/ সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :