শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ০১:৫৪ রাত
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ০১:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, শঙ্কা-উৎসবের ভোট কাল

নিউজ ডেস্ক: রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গত কয়েক দিনে ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে শনিবার মধ্য রাতে শেষ হল প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা।

এখন চলছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভোট গ্রহণের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আজ ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে নির্বাচনী মালামাল। রাত পোহালেই সোমবার এ তিন সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন ৮ লাখ ৮২ হাজার ভোটার। ওইদিন রাতেই ফলাফল ঘোষণা করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ওই ফলাফলে নির্ধারিত হবে তিন সিটির মেয়র পদে কারা বসছেন।

তিনটিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের মধ্যেই মূল লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছেন স্থানীয়রা।

তিন সিটিতে মেয়র পদে ১৯ জন প্রার্থীর নাম থাকলেও নির্বাচনী মাঠে আছেন ১৭ জন। বরিশাল ও সিলেট সিটিতে দু’জন মেয়র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

এ ছাড়া তিন সিটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বরিশালে তিনজন সাধারণ কাউন্সিলর ও একজন নারী কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

এদিকে ভোট গ্রহণের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক ও শঙ্কা ততই বাড়ছে। তবে অনেকটা নির্ভার প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে দলটির কার্যত অভিযোগ নেই। প্রচারের শেষদিন তিন সিটিতে বিশাল শোডাউন করেছেন দলটির মেয়র প্রার্থীরা। ‘উন্নয়ন’ করার অঙ্গীকারে তিন সিটিতে তারা জয় পাবেন এমনটি প্রত্যাশা দলটির।

অপরদিকে বিএনপির দুশ্চিন্তা সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে। দলটির মতে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত তিন সিটিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ১৮টি মামলায় ১১শ’র বেশি আসামি করা হয়েছে।

মামলায় তিন সিটির স্থানীয় পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতাদের আসামি করা হয়েছে। তবে সব মামলার এজাহারে বেশিরভাগই অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। দলটির প্রায় দেড়শ’

নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার হয়েছে রাজশাহীতে। এ সিটিতে দলটির নেতাকর্মীর নামে ৯টি মামলায় ৮৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ছাড়া বরিশালে এ পর্যন্ত ৩৬ জন ও সিলেটে ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছে বলে দাবি বিএনপির। তিন সিটিতে এসব মামলা ও আটকের ঘটনায় দলটির মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীদের।

তাদের মতে, গ্রেফতার এড়াতে অনেকেই এলাকা ছেড়ে সরে গেছেন। এ অবস্থায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট থাকবে কিনা, তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছে দলটি। এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন দলটির মেয়র প্রার্থীরা।

তিন সিটিতে হেরে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে বিএনপির এসব অভিযোগ করছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, তিন সিটি নির্বাচনেই স্থানীয় ভোটাররা উন্নয়নের জন্যই আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে মেয়র পদে জয়ী করবেন। দেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবেন।

কোনো সিটি নির্বাচন নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা নেই। নির্বাচনে বিএনপির কারচুপির আশঙ্কা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিন সিটিতে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা এসব আশঙ্কার কথা বলছে।

তাদের নেতাকর্মীদের মামলা ও গ্রেফতারের অভিযোগ তুলছে। আর ভোটের দিন অভিযোগ করবে, তাদের এজেন্ট বের করে দিয়েছে। এভাবে নালিশ করাই তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিন সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হবে। সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করেছে।

অন্যদিকে নির্বাচনের প্রচারে সমান সুযোগ ছিল না- এমন অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোট কেন্দ্রে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা আছে।

তিনি বলেন, তিন সিটিতে নেতাকর্মীরা অবরুদ্ধ। প্রচারের শুরু থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা ও গ্রেফতার করেই ক্ষান্ত হয়নি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে।

আমাদের সব পদক্ষেপে তারা বাধার সৃষ্টি করছে। এখন ধানের শীষের এজেন্টদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বাড়িছাড়া করছে। এসব নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।

সরকার যেভাবে চাইছে নির্বাচন কমিশন সেভাবে চলছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি না করে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

তবে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য প্রশাসন ও পুলিশকে সব ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, সার্বিকভাবে নির্বাচনের পরিস্থিতি ভালো।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে, নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে অপরিহার্য না হলে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। পাকিস্তানের মতো আমাদের নির্বাচন যাতে রক্তাক্ত না হয় সে বিষয়টিও লক্ষ রাখা হচ্ছে।

বিএনপির এজেন্টদের হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে বলেছি, আপনাদের এজেন্টদের তালিকা আমাদের দেন। ওই এজেন্টদের হয়রানি করা হলে সে বিষয়টি আমরা দেখব। এখনও তাদের তালিকা পাইনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম যাতে না হয়, সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানো হয়েছে।

কোথাও কোনো সমস্যা হলে স্ট্রাইকিং ফোর্সকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের কোনো চাপের মুখে নেই বলেও জানান তিনি।

উৎসবের পাশাপাশি শঙ্কা : খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন সিটিতে উৎসবের পাশাপাশি শঙ্কা বিরাজ করছে। প্রচারের শেষদিন শনিবার আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীদের প্রচারে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

তাদের মধ্যে নির্বাচনী উৎসব দেখা গেছে। অপরদিকে ভোট গ্রহণ সামনে রেখে নির্বাচনী এজেন্টদের নিয়ে শঙ্কায় আছে বিএনপি। দলটি মনে করছে, এসব এজেন্টকে ভোট কেন্দ্রে নিরাপদে নিয়ে যাওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ।

ভোটের আগে এজেন্টদের অনেকেই গ্রেফতার হতে পারেন এমন আতঙ্কও বিরাজ করছে তাদের মধ্যে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজশাহীতে দলটির নেতাকর্মীদের নামে ৯টি মামলা করা হয়েছে।

এতে ১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও তিন শতাধিক ব্যক্তিকে। সর্বশেষ শনিবারও ছাত্রদলের দুই নেতার নামে দুটি মামলা করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত রাজশাহী বিএনপির ৮৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরদিকে বরিশালে দলটির নেতাকর্মীদের নামে ৩টি মামলা করা হয়েছে। এ তিনটিতে ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ৬০ জনের বেশি।

গত কয়েকদিনে বিএনপির ৩৬ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রচারের শুরুতে বিএনপি তেমন চাপের মুখে না পড়লেও ভোট সামনে রেখে গ্রেফতারের মাত্রা বেড়েছে।

এ তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। একই আশঙ্কা করছে সিলেট বিএনপি। এ পর্যন্ত সিলেট সিটিতে ৬টি মামলায় ৪৭৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ৬ দিনেই ৪টি মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত বিএনপির ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে তারা স্বস্তিতে আছেন। এ দুই সিটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয় মোটামুটি নিশ্চিত বলে তারা মনে করছেন।

তবে বরিশাল সিটিতে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। তিনি বলেন, গত ৪-৫ দিনে তিন সিটিতেই আওয়ামী লীগের প্রচার বেড়েছে। একই সময়ে বিএনপি কিছুটা পিছু হটেছে। তাদের এ পিছু হটা ভোটারদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী থাকায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী চাপে আছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন করায় দলীয় প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আরও ভালো অবস্থানে গেছেন।

এ সিটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন বলে আশা তার। অপরদিকে রাজশাহীতে দলটির মেয়র প্রার্থী বেশ নির্ভার। এখানেও জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী তারা।

একনজরে রাজশাহী সিটি : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬০ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ সিটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। এর বাইরে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ সিটিতে আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে জানা গেছে।

৩০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ এবং নারী ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন। এ নির্বাচনে ১৩৮টি ভোট কেন্দ্র ও ১ হাজার ২৬টি ভোটকক্ষ রয়েছে।

এর মধ্যে ১১৪টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এ সিটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ৩০টি মোবাইল টিম ও ১০টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে। এ ছাড়া র‌্যাবের ৩০টি টিম ও ১৫ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া ৪ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে।

বরিশাল সিটি নির্বাচন : বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১২৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৫৫টি ভোট কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসারের ২৪ জন সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া এ সিটির ভোটের নিরাপত্তায় পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ৩০টি মোবাইল টিম ও ১০টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে।

এ ছাড়া র‌্যাবের ৩০টি টিম ও ১৫ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। এর বাইরে ৪ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৭ জন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে বশিরুল হক ঝুনু নামের স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। বাকি ছয়জন মেয়র প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।

বরিশাল সিটিতে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টিতে ও একটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৯১ জন ও ৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন। এ সিটিতে বিএনপির মো. মজিবর রহমান সরোয়ার ও আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

সিলেট সিটি নির্বাচন : সিলেট সিটি নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থী হলেও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. বদরুজ্জামান সেলিম নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। বাকি ছয়জন মেয়র প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।

মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রথমবার প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আছেন।

এ সিটিতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সিলেট সিটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৭ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ সিটিতে ১৩৪টি ভোট কেন্দ্র ও ৯২৬টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে ৮০টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ সিটির ভোটের নিরাপত্তায় পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি মোবাইল টিম ও ১০টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে।

এ ছাড়া র‌্যাবের ২৭টি টিম ও ১৪ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। এর বাইরে ৩ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়