সুজন কৈরী : গভীর রাতে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের উল্টো পাশের একটি বারে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বারটির দুই মালিক মনির হোসেন ও আশরাফসহ বারের ম্যানেজার শেখ শামীমকে ২ বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৭৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে র্যাব-১ এর সহায়তায় প্রগতি নামের ওই হোটেল অ্যান্ড বারে এ অভিযান চালানো হয়। র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। বারটি থেকে বিপুল পরিমানে অনুমোদনহীন মদ ও বিয়ার উদ্ধারের পর জব্দ করা হয়।
রোববার ভোর পৌনে ৫ টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, বারটির (সুরিখানা বা মদ বিক্রির দোকান) লাইসেন্স থাকলেও বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা করছে। গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এখানে অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কর্মকান্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী যাদের মদ পান করার লাইসেন্স আছে শুধু তাদের কাছেই মদ বিক্রি করতে পারবে এই বার। কিন্তু বারাটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে সবার কাছে মদ ও বিয়ার জাতীয় পণ্য বিক্রি করছে। যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে আরো বলেন, বারটি থেকে ৯০ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে মাত্র ৯ জনের মদ পানের লাইসেন্স আছে। তবে যাচাই-বাছাই শেষে ৭৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে (১৫ দিন থেকে ১ মাস) কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
সারওয়ার আলম বলেন, বারটি একদিকে অনুমোদন ছাড়াই বিদেশি বিভিন্ন ধরণের মদ ও বিয়ার বিক্রি করছে। অপরদিকে ২০০ ক্যান বিয়ার বিক্রি করা হলেও খাতাপত্রে লেখা হয় ২০টি বা ২২টি। হিসেবেও জালিয়াতি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব অভিযোগে বারটির দুই মালিক ও ম্যানেজারকে দুই বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বারের বিভিন্ন স্থান থেকে হান্টার, রয়েলসহ বিভিন্ন ধরণের দেশি বিদেশি বিপুল সংখ্যক বিয়ার ও অনেক বিদশে মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। তালিকা তৈরির পর এগুলো জব্দ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :