শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ০৩:৩১ রাত
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ০৩:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হোয়াট ইজ দেয়ার ইন আওয়ামী খয়রাত ফর বিএনপি?

যায়নুদ্দিন সানী: তিন সিটি কর্পোরেশানে নির্বাচন হচ্ছে। অ্যাটলিস্ট অফিশিয়ালি তো এটা নির্বাচন। অ্যান্ড নির্বাচন যখন হচ্ছে, রেজাল্টও একটা হবে। অন্তত অফিশিয়ালি একটা দেয়া হবে। সেই রেজাল্ট নিয়ে কি আপনি বদার্ড? যেদিন রেজাল্ট দেয়া হবে, সেদিন কি আপনি রেজাল্ট জানবার জন্য অপেক্ষা করবেন?
দেশের পরিস্থিতি যারা জানেন, তাঁরা তো জানেনই। আর যারা জানেন না কিংবা অপেক্ষা করে আছেন নির্বাচনের ফলাফলের জন্য, তাঁদের ভেতর দু’ধরনের লোক আছেন। একদল অপেক্ষা করে আছেন, কত ব্যবধানে পরাজিত হচ্ছে তা জানার জন্য? আরেক ধরন আছেন, যারা প্রত্যাশা করে আছেন, একটা সত্যিকারের নির্বাচন হবে এবং একটা সত্যিকারের ফলাফল হবে। শেষের গ্রুপের সদস্যদের শুধু বলব, বেস্ট অফ লাক। আশা করি, যেন একটি সুন্দর নির্বাচন দেখতে পান।
এই মুহূর্তে আমি সেটা নিয়ে ভাবছি না। আমার প্রশ্ন, এরপরে কী?
একটু এক্সপ্লেইন করি। বিএনপি যে জিতবে না, তা বিএনপি নিজেও জানে। পরাজয়টা যে ম্যানুফ্যাকটার্ড হবে, সেটাও তাদের অজানা না। তাহলে? তারপরও নির্বাচন কেন করছে? কিংবা প্রশ্নটা এক্সপ্যান্ড করলে দাঁড়ায়, এমন নির্বাচন সাধারণত অসরকারী দলগুলো কেন করে? ইউজুয়ালি একটা ডিল থাকে। পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেল দেখে এবং গৃহপালিত বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনে অবশ্য মনে হচ্ছে, বিএনপি অযথাই ভয় পাচ্ছে। যেগুলো নির্বাচনে ওরা হেরেছে, সেটা সত্যিকারেরই হারা। জনগণ ওদের ভোট দেয়নি। মাথার দিব্যি করে সবাই জানাচ্ছে, সেসব ইলেকশান কোনো ম্যানিপুলেশান হয়নি। আর ২০১৯য়েও হবে না। আর তাই, বিএনপির নির্বাচনে না আসা হবে ঐতিহাসিক ভুল, যেমনটা তারা করেছিল ২০১৪তে। ব্লা ব্লা ব্লা…। ইজ ইট? ২০১৪ কি বিএনপির জন্য একটা ব্লান্ডার ছিল? ব্যাপারটার উত্তর লুকিয়ে আছে বিএনপির মানসিকতায়। মানসিকভাবে বিএনপি তখন ১৯৯৬এ পড়ে ছিল। ধরে নিয়েছিল একতরফা নির্বাচন হলে জনগণ মাঠে নেমে এর প্রতিরোধ করবে। ’৯৬এ আওয়ামীদের করা আন্দোলনের জেরক্স কপি তারা করতে পারবে। তাতে শুরুতে তারা ব্যর্থ হয়, আর পরে ব্যাপারটাকে নিজেদের জন্য বুমেরাং করে। যার খেসারত এখনও তারা দিচ্ছে।
কারণ? কারণ তারা ভুলে গিয়েছিল, ২০১৪এর আগে ২০০৭ নামে কটা বছর ছিল। আর ২০১৪ মানে, ২০০৭এর পরের একটা সময়। এরমাঝে ‘১/১১’ ঘটে গিয়েছে। ১/১১ দুই দলকেই সিগন্যাল দিয়েছিল, এই দুই দলের কারোর জন্যই জনগণের কোনো মাথাব্যাথা নেই। বড় কোনো নেতা আটক হলেও, তাদের কিছু যায় আসে না। এরা মাঠে নামবে না। আন্দোলন করবে না। সিগন্যালটা আওয়ামীরা ধরতে পেরেছিল, বিএনপি পারেনি।
এরপরে? বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ, দুজনের কেউই ১/১১র শিক্ষা তারা নেয়নি। তারা কেউই জনগণের নির্লিপ্ততার কারণ খুঁজতে যায়নি। জনগণ কেন তাদের পাশ থেকে সরে গেছে, তা জানবার কোনো চেষ্টা তারা করেনি। ফলাফল? আওয়ামীরা জনগণের নির্লিপ্ততা ব্যাবহার করেছে। আর বিএনপি খেসারত দিয়েছে।
সেই খেসারতের লেটেস্ট ভার্সান হচ্ছে, এসব নির্বাচনে অংশ নেয়া। দে হ্যাভ নো অপশান লেফট। তাদের এখন কাজ একটাই। এমন একটা নির্বাচনে এসে, ইলেকশানে হেরে, ‘ভোট কারচুপি হয়েছে’, এমন ঘ্যানঘ্যান করা। ‘নির্বাচনে কারচুপি হবে’ তবে টক-শোতে এসে ইনিয়ে-বিনিয়ে এই কথা বলা। কাজটা যে একঘেঁয়ে এবং ‘রাখাল বালক এবং বাঘ’ কেস। ব্যাপারটা প্রতিটা বিরোধীদল, এতটাই ব্যবহার করেছে যে, সত্যি হলেও এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না। সমস্যা হচ্ছে, ব্যাপারটা বিএনপি বুঝছে কি না, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।
বিএনপির সমস্যা আরও আছে। আওয়ামীরা তাদেরকে যে সমস্যা ফেলেছে তাতে তারা জনগণকে না দেখাতে পারছে যে তারা ‘আপোষহীন (??)’ না বিশ্বাস করাতে পারছে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তারা আপোষ করেছে। তাদের কার্যকলাপ দেখে জনগণ একটা কথাই বুঝছে, আর তা হল, নির্বাচন যেমনই হোক, ২০১৪র মতো তারা মাঠ ফাঁকা ছাড়তে চায় না। জাতীয় পার্টিকে দ্বিতীয় দল হতে দিতে চায় না। জনগণ আরও একটা ব্যাপার বুঝে গেছে, তা হচ্ছে, বিএনপির আসলে কিছু করার মুরোদ নেই। তবে ভয়ঙ্কর যে ব্যাপারটা তারা সন্দেহ করছে, তা হচ্ছে, সরকারের সাথে তারা কিছু একটা ডিল করছে।
পুরো ব্যাপারটা সামারাইজ করলে দাঁড়ায়, অ্যাট দিস মোমেন্ট, আওয়ামী লীগ ইজ রুলিং উইথ অথরিটি অ্যান্ড বিএনপি ইজ নো হোয়ার। আর এমন অসম একটা পরিস্থিতিতে কি আদৌ কোনো ডিল হওয়া সম্ভব? আওয়ামী লীগ কি আদৌ কোনো ছাড় দেবে? আই ডোন্ট থিঙ্ক সো। আমার ধারণা, এই মুহূর্তে বিএনপি নিজেও সেটা জানে। আর এটাও জানে, তারা যদি কিছু পায়, সেটা আওয়ামী খয়রাত হিসেবেই পাবে। প্রশ্ন হচ্ছে, ‘হোয়াট ইজ দ্যাট?’ আওয়ামী খয়রাতে আসলে কী আছে? আর সেটা তারা কখন এবং কেন দেবে? এই মুহুর্তে আওয়ামীদের একমাত্র চাওয়া ২০১৯ পার করা। বাট হাও? উইথ? অর উইদাউট বিএনপি? সেটাই ভাইটাল প্রশ্ন। আওয়ামীরা কি চায়? ‘বিএনপি আসুক’ এটা চায়? না ‘বর্জন করুক’ চায়? আওয়ামীদের চাওয়ার ওপর ডিপেন্ড করছে কী খয়রাত পাবে বিএনপি। আপাততঃ ‘নেত্রী ছাড়া নির্বাচনে যাব না’ টাইপ ডায়ালগ তারা বোঝাতে চাইছে, তাদের চাওয়া হচ্ছে, নেত্রীর কারামুক্তি। তারা ভাবছে, তারা সরকারকে বাধ্য করতে পারবে, নেত্রীকে ছেড়ে দিতে। ভাবছে, নির্বাচনে আসবার জন্য সেটাকে তারা তুরুপের তাস হিসেবে ব্যাবহার করতে পারবে। ইজ ইট? ইজ ‘নেত্রীর কারামুক্তি’ অ্যাট অল অ্যা ট্রাম্প কার্ড? ইয়েস, বাট ফর আওয়ামী লীগ। সিচুয়েশানটা হচ্ছে, বিএনপির অফার আওয়ামীদের টেবিলে আছে। অ্যান্ড ইট ইজ দেয়ার টু বি ইউজড অ্যাজ অ্যা ট্রাম্প কার্ড। আর সেটাকে কীভাবে ব্যবহার করবে, সেটা ঠিক করবে আওয়ামীরা। তাই এই মুহূর্তের মিলিওন ডলার কোয়েশ্চেন হচ্ছে, হোয়াট আওয়ামী লীগ ওয়ান্টস?
সো দ্যা বটম লাইন ইজ, ২০১৯ কেমন হবে, বিএনপি আসবে, কি আসবে না, সবই ডিপেন্ড করছে, আওয়ামীরা কী চায়, তার ওপর। দেয়ার উইল বি নো ডিল। যা হবে, তা আওয়ামীদের প্ল্যানিং অনুযায়ীই হবে। কিংবা সৎ বাংলায় বললে, বলা যায়, বিএনপি সেটাই খয়রাত হিসেবে সেটাই পাবে, যতটুকু আওয়ামীরা দেয়ার জন্য মনস্থ করেছে। লেটস সি, হোয়াট ইজ দ্যাট। হোয়াট ইজ দেয়ার ইন আওয়ামী খয়রাত ফর বিএনপি?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়