শিরোনাম
◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ০২:০৬ রাত
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ০২:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শোকাবহ আগস্টে দলের কেউ চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আ. লীগ

রফিক আহমেদ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বরে। তাই শোকাবহ আগস্টে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের লক্ষ্য এবার শোক দিবসের নামে কাউকে কোথাও চাঁদাবাজি করতে দেবে না। কোনো নেতাকর্মী অন্যায়-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে দলটি। কেন্দ্র থেকে এমন বার্তা সংগঠনের সর্বস্তরে ইতিমধ্যেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয়রা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শোক দিবসের নামে কেউ কোথাও চাঁদাবাজি করলে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ। শোক দিবসকে কেন্দ্র করে কোথাও যদি এমন কিছু হয় তাহলে নেত্রীর (দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা) রাজনৈতিক কার্যালয়ে টেলিফোন করে তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একইসুরে কথা বলেছেন রাজধানীর বিভিন্ন সংসদীয় আসনের এমপি ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকরা। তারা বলছেন, শোক দিবসের নামে চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় শোক দিবসের নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে তার কিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে আমাদের পার্টির কেউ যাতে চাঁদাবাজি না করে সেই জন্য পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি। দলের চাঁদা নিয়ে আমরা প্রোগ্রাম করবো, এর বাইরে কেউ যেন চাঁদা না তুলে।

শোকের মাসে আলোচনা সভা কিংবা কোনো মতবিনিময় সভার নামে চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারী দিয়েছেন ঢাকা-৫ আসনের সাংসদ আলহাজ¦ হাবিবুর রহমান মোল্লা এমপি। তিনি বলেন, শোকের মাস হচ্ছে বাঙ্গালী জাতির জন্য বেদনাদায়ক-অস্রভেজা আগস্ট। যারা শোকের মাসে অনুষ্ঠানের নামে আনন্দ-উল্লাস করে তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না এবং তারা প্রকৃত আওয়ামী লীগের লোক নয়। তাদেরকেই অনেক সময় হাইব্রিড-অনুপ্রবেশকারি কাউয়া বলা হয়।

শনিবার বিকেলে যাত্রাবাড়ির কাঠেরপুলে ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল, বৃহত্তর ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কৌশিক আহমেদ জসিম, যাত্রাবাড়ি থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু খন্দকার, বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম বাবু, বীরমুক্তিযোদ্ধা বাবুল মোল্লা, যাত্রাবাড়ি থানা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আমিন নীরু ও যুবলীগ নেতা সোহেলসহ আরো অনেকে। শোক দিবসে চাঁদাবাজি হোক এমনটি চান না মেহেরপুর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী একেএম কামরুজ্জামান। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ কিংবা দলের কোনো অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা শোকদিবস পালনের নামে চাঁদাবাজি করলে গ্রেফতার করা উচিত। নির্বাচন আসন্ন, তাই তাদের কঠোরভাবে দমনের মাধ্যমে জনমনে সকল সন্দেহ দুর করতে হবে। এই মাসে জাতির জনককে স্মরণের নামে চাঁদাবাজি যেন বঙ্গবন্ধুর স্মরণকে ম্লান করতে না পারে। তিনি বলেন, চাঁদাবাজ আর অপকর্মকারিরা কোনো দলের নেতাকর্মী হতে পারে না। ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু বলেন, আমরা কাউকে শোক দিবসের নামে চাঁদাবাজি করতে দেবো না। আর ঠাকুরগাও-৩আসনের নৌকার মনোনয়ন চান অধ্যক্ষ সুজাউল করিম চৌধুরী বাবুল। তিনি বলেন, শোকাবহ আগস্টকে ঘিরে যদি কেউ কোনো ধরনের চাঁদাবাজি করেন, তাকে ছাড় দেয়া হবে না।

নারায়নগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত বলেন, শোক দিবসে চাঁদাবাজি করা মানে জাতির জনককে অসম্মান করা, এটা একটা অপকর্ম। শোকের মাসের সম্মান, মর্যাদা, অবমাননাকর যাতে না হয়, জাতির পিতার আত্মার অমর্যাদা যাতে না করা হয়, সেদিকে আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মীকে সর্তক থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। একই কথা বলেছেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. জায়েদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেন, যেসব কাজে সরকারের অর্জন ম্লান হয়, তা থেকে বিরত থাকাই উচিত।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজি জাফরউল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা যেমন অক্ষুণœ রাখতে চায়, তেমনি সরকারের অর্জন ম্লান হয়, এমন কোনো কর্মকান্ডের সঙ্গে দলের যত বড় নেতাই সম্পৃক্ত থাকুক, শাস্তি তাকে পেতে হবে এমন নীতি অনুসরণ করেছে। অন্যায় করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ এখন কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়