রাশিদ রিয়াজ : ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ যতই আশ্বাস দিক তার প্রতিষ্ঠান ঘুরে দাঁড়াবে কিন্তু বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন তা তত সহজ হবে না। এক মাস ধরে ফেসবুকের সঙ্গে কপাল মন্দ চলছে টুইটারের। নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থতা বরং এধরনের গোপনীয়তা চুরি এধরনের অভিযোগের খেসারত প্রতিষ্ঠানদুটিকে দিতে হয়েছে শতাধিক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি সামলিয়ে। কেমব্রিজ এ্যানালাইটিকা ডাটা কেলেঙ্কারী কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা ফেসবুকের। অথচ টুইটার তার ব্যবসায় দ্বিগুণ লভ্যাংশের কাছে চলে গিয়েছিল। তারপর নিউইয়র্ক শেয়ারবাজারে মাত্র কয়েক ঘন্টায় প্রতিষ্ঠানদুটির ২০ শতাংশের শেয়ার পতন অনেককেই ঘাবড়ে দিয়েছে। ব্লুমবার্গ/ফিনান্সিয়াল ট্রিবিউন
অবশ্য ফেসবুক এখন বলছে গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষাকেই তারা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে দ্রুত বাণিজ্যিক লাভের চেয়ে। গত শুক্রবার টুইটার জানিয়েছে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দশ লাখ ব্যবহারকারীকে সে হারিয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানেরই এখন প্রধানতম চ্যালেঞ্জ গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনা বা যতটুকু আছে তা না হারানো। এমনকি টুইটার তার বিনিয়োগকারীদের সাবধান করে দিয়ে বলেছে আরো লাখ লাখ ব্যবহারকারীকে সে হারাতে পারে। জিবিএইচ ইনসাইটের ড্যানিয়েল ইভেস বলেছেন, ব্যবসার ধরণ পাল্টানো ছাড়া কোনো উপায় নেই প্রতিষ্ঠান দুটির। তা না হলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় কঠোর আইন ও নজরদারী শুরু করেছে তাতে হালে পানি পাবে না ফেসবুক ও টুইটার। ফেসবুকের বর্তমান মাসিক ব্যবহারকারী ২.২৩ ও টুইটারের ৩৩৫ মিলিয়ন ব্যবহারকারী শেষ পর্যন্ত ধোপে নাও টিকতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :