শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০১৮, ১১:৪৮ দুপুর
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০১৮, ১১:৪৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মুলধন কমেছে ৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা

মাসুদ মিয়া : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই মূল্য সূচক পতনের মধ্য দিয়ে আরও একটি সপ্তাহ পার করেছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে প্রধান মূল্য সূচক কমেছে প্রায় এক শতাংশ। এ নিয়ে টানা পাঁচ সপ্তাহ পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার।

মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনও কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৮৩ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ৮৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের দরপতনে তিন হাজার ৮২৩ কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩২ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ২১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৪০ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ কমেছে ১৩ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ১২ শতাংশ।প্রধান সূচক ও বাছাই করা সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১৩ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৫ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১২৫টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দাম।

অবশ্য বাজার মূল্যধন ও সূচকের পতনের মধ্যেও গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮৯০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৮৭৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে চার হাজার ৪৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় চার হাজার ৩৯০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৬৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১ দশমিক ১৩ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়