এ কে এম শফিকুল ইসলাম : সবশেষ জরিপে বাঘের সংখ্যা ৪৪০ থেকে নেমে এসেছে ১০৬-এ। চোরা শিকারি, খাবার সংকট থেকে শুরু করে নানা কারণে বিপন্ন ম্যানগ্রোভের এই বেঙ্গল টাইগার। এ অবস্থায় ইউএসএইডের সহায়তায় ১১৪ কোটি টাকার ৪ বছর মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। তবে গবেষকদের দাবি বাঘ রক্ষায় বন বিভাগ এর আগেও বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি।
জানুয়ারিতে সুন্দরবনের গুলিশাখালী গ্রামে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এই বাঘটিকে। গত ১৮ বছরে নানা কারণে মারা পড়েছে ৪৫টি বাঘ। খাবার সংকট ও বিচরণের নতুন এলাকার সন্ধানে বন থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বেঙ্গল টাইগার।
অস্তিত্ব সংকটে বাঘ- লোকালয়ে ঢোকায় পিটিয়ে হত্যা ১৫টি, বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু ৮টির, অসুস্থ হয়ে মারা গেছে ২টি, ঘূর্ণিঝড় সিডরে মৃত্যু ১টির, চোরা শিকারিদের গুলিতে মৃত্যু ৮টির, চামড়া উদ্ধার হয়েছে ১০টির, ২০১২ সালে পাচারের সময় উদ্ধার ৩ শাবক।
এ অবস্থায় ইউএসএইডের সঙ্গে যৌথভাবে ১১৪ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে রয়েছে সরকার। বাঘ রক্ষায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থায়ন এটি। এর আগে ১৯৯০ সালে প্রথম পাঁচ বছর মেয়াদে ৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় টাইগার প্রজেক্ট সুন্দরবন নামেও একটি প্রকল্প হাতে নেয় বন বিভাগ যা আজও আলোর মুখ দেখেনি।
তবে গত দুই বছরে বনদস্যুদের তৎপরতা কমাকে বাঘ রক্ষায় ইতিবাচক ঘটনা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এ সময়ে জব্দ হয়নি চোরা শিকারির গুলিতে মৃত কোনো বাঘের চামড়া।
বনে বাঘের বিচরণ এলাকায় রয়েছে খাবার সংকট। এ অবস্থার উন্নতিতে সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর তদারকি আরো জোরদারের পরামর্শও গবেষকদের।
এদিকে আগামী ১০ বছরের জন্য তৈরি হচ্ছে 'বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্লান' নামে দীর্ঘমেয়াদি একটি কর্মপরিকল্পনা। ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতের পাশাপাশি বাঘ রক্ষায় এতে থাকছে নানা পদক্ষেপ।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :