শাম্মি আক্তার : ভল্টে স্বর্ণ নেই, কয়লা খনিতে কয়লা নেই, বর্তমান সরকার সবি খেয়ে ফেলেছে। দেশের সম্পদ হিসেবে একমাত্র মাটি আছে তাও অল্প কয়েক দিনের মধ্যে খেয়ে ফেলবে। কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে এসকল বিষয় মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এখন মনে হচ্ছে, আমরা জানোয়ারের দেশে বসবাস করছি। বর্তমান সরকারের শাসন আমলে কোনো নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে নেই। দেশে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, যে প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংশ করে নাই।
বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দের দরিয়ায়ে নূর নামক ডায়মন্ড ছিলো, যা পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংকের স্বর্ণ তামাতে পরিণত হয়। এসব অনিয়মের বিষয় খতিয়ে অপরাধীদের খুঁজে বের করা দরকার। সরকারের অনেক সংস্থা আছে, সেই সংস্থার লোকেরা জনগণের টেক্সের টাকা থেকেই বেতন নিচ্ছে। তাদের দায়িত্ব জনগণের সম্পদের নিরাপত্তা দেওয়া।
বর্তমানে তার উল্টো হচ্ছে। কেন্দ্রিয় ব্যাংক থেকে স্বর্ণ চলে যাচ্ছে এবং সবচেয়ে দামী হিরাটাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না কেন? গত বছর এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন ও হয়েছে। সরকার দেশে কিছু রাখবে না, সব-ই খেয়ে ফেলবে। তারা কয়লা থেকে শুরু করে ভল্টের স্বর্ণসহ সকল কিছু খেয়ে ফেলেছে। অনেকে বলছে ২০০ কোটি টাকার কয়লা বাতাসে উড়ে গেছে, যা খুবি হাস্যকর বিষয়। এতো কয়লা বাতাসে উড়ে গেলো কি করে? এদের লজ্জা নেই। এরা পাগল কুকুরের মত আচরণ করছে। তাদের কাজ, বিরোধী দলের নেতাদের হত্যা, ঘুম, পুলিশি হয়রানি করা। প্রধানমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের কোনো ঠাই হবে না।
উনার নিজের দলের লোকেরাই ভর দুপুরে মাহমুদর রহমানের উপর হামলা চালিয়ে উনাকে আদালত চত্বরে রক্তাক্ত করেছে। এখন পর্যন্ত হামলাকরী একটি ছেলেও গ্রেপ্তার হয়নি। বর্তমান সরকারের লোকদের জন্য দেশে সাধারণ মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না। দুর্নীতি করতে করতে তাদের এমন অবস্থা হয়েছে যে, তারা এতো দিনতো মানুষের গচ্ছিত আমানত খেয়েছে এবং দেশের খনিজ সম্পদ খেয়েছে। সামনের দিন গুলোতে তারা দেশের যে মাটিও লুটে পুটে খাবে।
পরিচিতি : সাবেক এমপি, বিএনপি/ মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :